Smuggling

বজ্র আঁটুনির স্পেশ্যাল ট্রেনেও কচ্ছপ পাচার

বন দফতরের দাবি, কচ্ছপ পাচারের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের একটি চক্র সক্রিয় ভাবে যুক্ত রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে চাষ হয় কচ্ছপ। সেখান থেকে কচ্ছপ বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৯:২৫
Share:

কচ্ছপ নিয়ে ধৃত। নিজস্ব চিত্র।

স্পেশ্যাল ট্রেনেও কচ্ছপ পাচার অব্যাহত মালদহে। বৃহস্পতিবার রাতে মালদহ টাউন স্টেশনে প্রচুর পরিমাণে কচ্ছপ সমেত এক কারবারিকে গ্রেফতার করল আরপিএফ। আরপিএফ কর্তাদের দাবি, উত্তরপ্রদেশ থেকে কচ্ছপগুলি নিয়ে মালদহ হয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত দিয়ে ওপারে পাচারের ছক ছিল কারবারির। তাঁদের দাবি, ঘটনায় একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তবে করোনা-আবহে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিপুল পরিমাণে কচ্ছপ নিয়ে স্পেশ্যাল ট্রেনে করে ওই কারবারি মালদহে কী ভাবে এল, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেলের মালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর কর্তারা।

Advertisement

আরপিএফ জানায়, ধৃতের নাম সুরজ কুমার। সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ব্রহ্মপুত্র মেলের এস ৭ কামরার যাত্রী ছিল সুরজ। তার কাছ থেকে তিনটি ব্যাগে ৭৪টি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ ও সুরজ কুমারকে বনদফতরের হাতে তুলে দেয় রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী। তাঁদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে টাউন স্টেশনে ব্যাগ নিয়ে সন্দেহজনক ভাবে তাকে দেখা যায়। তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় কচ্ছপ। উত্তরপ্রদেশ থেকে কচ্ছপগুলি ব্যাগে করে মালদহে নিয়ে আসে সে। মালদহ থেকে সড়ক পথে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে নিয়ে যাওয়ার ছক ছিল। সেখান থেকে পাচার করা হত ওপার বাংলায়।

আগেও মালদহ টাউন স্টেশনে একাধিক বার প্রচুর পরিমাণে কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের একাধিক কারবারিও গ্রেফতার হয়েছে। বন দফতরের দাবি, কচ্ছপ পাচারের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের একটি চক্র সক্রিয় ভাবে যুক্ত রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে চাষ হয় কচ্ছপ। সেখান থেকে কচ্ছপ বিভিন্ন জায়গায় পাচার হয়। কচ্ছপের খোল দিয়ে নানান ওষুধ তৈরি হয়। তাই কচ্ছপ পাচারের ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদহের বন দফতরের কর্তারা।

Advertisement

করোনা-আবহে হাতে গোনা কিছু ট্রেন চলাচল করছে। আর ট্রেনগুলিতে যাত্রী ওঠা-নামার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে রেল। যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছতে হচ্ছে স্টেশনে। তারপরও কী ভাবে এত পরিমাণে কচ্ছপ নিয়ে সুরজ ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় উঠলেন তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও নিরাপত্তা বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement