নিজস্ব চিত্র
জিটিএ নির্বাচনে ১০ আসনে ল়ড়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের প্রার্থিতালিকায় এ বার বড় চমক প্রাক্তন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। রবিবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে পর প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করলেন পাহাড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এরই পাশাপাশি, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটেরও প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল শাসকদল। ওই নির্বাচনে অবশ্য সব আসনেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল।
শিলিগুড়ির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে অরূপ বলেন, ‘‘পুরভোটে ১০ আসনে লড়েছিলাম আমরা। জিটিএ নির্বাচনেও ১০ আসনেই লড়ব। ওই ১০ আসনেই আমরা জিততে চাই। গত ১১ বছর ধরে পাহাড়ের উন্নয়ন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭৩টি সামাজিক প্রকল্প করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে এক নম্বর জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সেই উন্নয়ন যজ্ঞে আপনারা সকলেই সামিল হোন, এই আমাদের আবেদন।’’ এর পরেই প্রার্থিতালিকায় জিটিএ-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয়ের নাম ঘোষণা করা হয় শাসকদলের তরফে। প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মোর্চা নেতা বিনয়।
ইতিমধ্যেই জিটিএ ভোটের প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। মোট ৪৫ আসনের মধ্যে ১১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে অনীতের দল। তার পরেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করল শাসকদল। তৃণমূল সূত্রে খবর, সমতলের মতো পাহাড়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি অত জোরদার নয়। এখনও পর্যন্ত দলের শক্তি বিস্তার কার্শিয়াং পর্যন্তই সম্ভব হয়েছে। দলের অন্য আর একটি সূত্রের দাবি, অনীতের দলের সঙ্গেও কয়েকটি আসন নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। সেই মতোই সাজানো হচ্ছে রণনীতি। যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি শাসকদলের তরফে। অরূপ বলেন, ‘‘পাহাড়ে আপাতত কোনও দলের সঙ্গেই জোট হয়নি। ভবিষ্যতে অনেক কিছু বলার আছে। যে ১০ আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে, তার সব ক’টিতেই জিততে চাই।’’
এ দিকে, পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং। জিটিএ ভোটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে মোর্চার তরফে। কিন্তু বিমলদের দাবিদাওয়া নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করেনি রাজ্য সরকার। এ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি কার্যত এড়িয়েই গেলেন মন্ত্রী অরূপ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।