প্রতীকী ছবি।
শুক্রবার উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবংও মালদহের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা প্রতিষেধকের ড্রাই রান বা মহড়া দেওয়া হল। সরকারি নিয়ম মেনে এ দিন উত্তরের ওই তিন জেলায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার মহড়া চালানো হয়। সব ক্ষেত্রেই মহড়া সফল হয়েছে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
উত্তর দিনাজপুর
রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ এবং রায়গঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা প্রতিষেধকের মহড়া হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, করোনা প্রতিষেধক আসার পর প্রথম দফায় জেলায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক, নার্স-সহ বিভিন্নস্তরের প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে। এ দিন ওই দুই জায়গায় ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার মহড়া হয়। কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করে পরিচয়পত্র দেখে সফটওয়্যারে নাম মিলিয়ে বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেন পাঁচ জনের নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল। এরপর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চার আধিকারিকের উপস্থিতিতে দলের সদস্যরা ওই ২৫ জন কর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়ার মহড়ার পর তাঁদের ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখেন।
ইসলামপুর: করোনা প্রতিষেধকের মহড়া হয় ইসলামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালেও। ইসলামপুরের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদেরও দেখানো হয় কিভাবে টিকাকরণ করা হবে। এ দিন সকাল থেকে ওই হাসপাতালে লাইন দিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার কাজের সঙ্গে যুক্ত ২৫ জন কর্মী প্রতিষেধকের মহড়া দেন। ইসলামপুর হাসপাতালে সুপার নারায়ণচন্দ্র মিদ্যার দাবি, কী ভাবে ও কী কী নিয়ম মেনে করোনার প্রতিষেধক দিতে ও নিতে হবে, তা এ দিন মহড়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর
শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিন জায়গায় করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার মহড়া চলে। বালুরঘাটের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস চত্বরের পাশপাশি হিলি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর পুরসভা চত্বরে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে সকাল ১১টা থেকে চলে মহড়া। প্রত্যেক ক্যাম্পে পাঁচজন করে সরকারি আধিকারিক ছিলেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকমার দে জানান, যারা ভ্যাকসিনের মহড়ায় প্রতিষেধক নেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন তাদের জন্য প্রতীক্ষালয়, ভ্যাক্সিনেশন রুম এবং পর্যবেক্ষনে রাখার ঘরের ব্যবস্থা রাখা হয়। টিকাকরণের মহড়ার পর প্রত্যেককে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষনে রাখে স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় প্রথম দফায় প্রায় ১৯ হাজার করোনা প্রতিষেধক মিলবে। এরমধ্যে প্রথমে জেলার প্রায় ৬৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
মালদহ
তিন দফায় করোনা টিকার মহড়া চলে মালদহে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্রেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মহড়া করে কর্তৃপক্ষ। সকাল নটা নাগাদ প্রথমে শুরু হয় ইংরেজবাজার শহরের মকদমপুর এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। এরপর বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। দুপুর ২টো নাগাদ শুরু হয় মিল্কি গ্রামীণ হাসপাতালে। তিনটি কেন্দ্রেই ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে চলে মহড়া। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে স্যানিটাইজ় করে স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম নথিভুক্ত করে মহড়া চলে। প্রতিষেধক নেওয়ার পর ৩০ মিনিট উপভোক্তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় বলে জানান মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শৈবাল মুখোপাধ্যায়।