চাহিদা এমনই মাস্কের। নিজস্ব চিত্র
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এখন বাইরে বেরলেই পরতে হয় মাস্ক। রোজের ব্যবহারের জিনিস হয়ে যাওয়ায় এখন সেই মাস্কেও লেগেছে ফ্যাশনের ছোঁয়া। ফুটপাতের পসরা থেকে জামা কাপড়ের শোরুম, পাড়ার মুদি দোকান থেকে ওষুধের দোকান— মাস্ক মিলছে সর্বত্র। এন-৯৫, কে-৯৫, সার্জিকাল থেকে তিন স্তরের সুতির কাপড়ের মাস্কে বাজার ছেয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এসেছে নানা ডিজাইনার মাস্ক। শাড়ি, সালোয়ার বা জিনসের সঙ্গে মিলিয়ে হরেক ডিজ়াইন, রঙের মাস্ক বিকোচ্ছে। এ বার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাজারে ‘ট্রাই কালার’ মাস্ক।
এতদিন স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা, ব্যাজ, টুপি বিক্রি হতো। এ বার সেই তালিকায় জুড়েছে মাস্কও। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন ওই মাস্কের চাহিদাও অনেক। এর সঙ্গেই বাজারে এসেছে ‘খাদি মাস্ক’। শহরের দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা স্নেহজিত রায় পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। তিনি জানান, প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রাই কালার’ মাস্ক দেখে শহরে খোঁজ করেন, পেয়েও যান। বললেন, ‘‘প্রতি ১৫ অগস্ট মোটরবাইকে পতাকা বেঁধে তিন রঙের টুপি, ব্যাজ পড়ে ঘুরতাম। এ বার বাড়ি থেকে বার হতে পারব কি না এখনও জানি না। তাই ঠিক করেছি, ওইদিন ট্রাই কালার মাস্ক পড়ে থাকব।’’ সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পার হওয়া শিল্পা বসু জানান, ‘‘পতাকা বা ব্যাজ তো ১৫ অগস্ট, ২৬ জানুয়ারির পর ব্যবহার করা যায় না। রেখেই দিতে হয়, এটা তিন রঙের মাস্ক তো সব সময় পরা যাবে।’’
শিলিগুড়িতে মাস্কের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা জানাচ্ছেন, দিল্লির দিক খেকে ওই মাস্ক শহরে এসেছে। ৪৫-৫০ টাকা করে তিনস্তরের মাস্কের দাম। এর বাইরে নতুন এসেছ খাদি মাস্ক। খাদির জামাকাপড়ের মত চড়কায় কাটা সুতোয় তৈরি মাস্কগুলির এক একটির দাম ৯৯ টাকা। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন সরঞ্জাম, উপকরণের ব্যবসায়ী সুতীর্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখন যুগটাই ফ্যাশনের যুগ। এরসঙ্গে তাল মিলিয়ে সব চলছে।’’ বাগডোগরার একটি সংস্থার অন্যতম মালিক সুমিত গোয়েলের কথায়, ‘‘করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর কিছুদিন পর থেকেই আমরা সতকর্তামূলক নানা সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ করছি। রোজই এসবে কিছু না কিছু নতুন জিনিস আসছে। এ বার ১৫ অগস্টের জন্য খাদি এবং ট্রাইকালার মাস্ক এর অন্যতম।’’