ফাইল চিত্র।
সিঁদুরে মেঘ দেখা গিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়, এবার থেকে ভুটানে ভারত, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ থেকে যাওয়া পর্যটকদের মাথাপিছু প্রতিদিন ১২০০ টাকা করে সুস্থায়ী উন্নয়ন ফি দিতে হবে। কিন্তু আদৌ কি এমনটা হচ্ছে কিংবা এমনটা হলে কী হতে পারে— সেই সব নানা আশঙ্কা নিয়েই বুধবার ভুটান সীমান্তের জয়গাঁয় নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে রাজ্যের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থা এবং পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিনিধিরা।
সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করবেন তাঁরা। বিভিন্ন মহলে কথা বলে এই কমিটি বোঝার চেষ্টা করবে, ভুটানে আদতে কী চালু হচ্ছে। প্রয়োনে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তারপর নিজেদের মধ্যে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ভুটান আইনসভার নিম্নকক্ষে পর্যটন সংক্রান্ত একটি আইন পাশ হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, ভারত, বাংলাদেশ ও মলদ্বীপ থেকে ভুটানে যাওয়া পর্যটকদের মাথাপিছু প্রতিদিন ১২০০ টাকা করে সুস্থায়ী উন্নয়ন ফি দিতে হবে। এতে করেই জয়গাঁ কিংবা উত্তরবঙ্গ ছাড়াও গোটা রাজ্যের পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যেই একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ প্রতি বছরই ভারত থেকে প্রচুর পর্যটক ভুটানে যান। ভুটানের যান সারা রাজ্য ও উত্তরবঙ্গের অনেকেও। কিন্তু মাথাপিছু প্রত্যেককে প্রতিদিন ১২০০ টাকা করে অতিরিক্ত গুনতে হলে পর্যটকদের উপর তার প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে।
এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে শিলিগুড়ির একটি হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘আমরা সংবাদ মাধ্যমে কিছুদিন থেকে দেখছি যে আগামী জুলাই মাস থেকে ভুটানে ঘুরতে গেলে পর্যটকদের দৈনিক মাথাপিছু ১২০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হবে। কিন্তু বুধবার জয়গাঁয় রাজ্যের বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে কথা বলে ঠিক হয়, শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমে বের হওয়া খবরের উপর ভিত্তি করে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে নিজেদের মধ্যে কমিটি গঠন করব। সেই কমিটি বিভিন্ন মহল থেকে খোঁজখবর করবে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’