আমেজ: বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ম্যালে উৎসাহী পর্যটকেরা। —নিজস্ব চিত্র
দার্জিলিং শহর বা ঘুমে বৃহস্পতিবার নতুন করে তুষারপাত হয়নি। আকাশ ছিল রোদ ঝলমলে। একে বছরের শেষ, বর্ষবরণ। আবার পড়তে পারে বরফ। এই আশায় এ দিনও দার্জিলিংমুখো হন প্রচুর সমতলের বাসিন্দা, পর্যটক। কিছু জায়গায় রাস্তার পাশে জমা একটুআধটু বরফ দেখতে পেয়েই আনন্দে মেতেছেন অনেকে। উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
দার্জিলিঙে তুষারপাত হয়েছিল মঙ্গলবার গভীর রাতে এবং বুধবার। এ দিনও কিছু জায়গায় টয় ট্রেনের লাইনের ধারে হালকা বরফ জমেছিল। শিলিগুড়ির বাসিন্দা সায়ন দাস বলেছেন, ‘‘এই প্রথম বার তুষারপাতের সাক্ষী থাকতে পেরে দারুণ লাগছে। নামতে ইচ্ছে করছিল না। একরকম মন খারাপ করে সমতলে নামলাম।’’
চায়ে চুমুক, ছোট ছেলেমেয়েদের ঘোড়ার পিঠে ওঠানো থেকে সেলফি আর আড্ডায় সকালের ম্যাল নতুন বছরের আগে যেন উৎসব-মুখর। সকালের শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘাকে একটি বারের জন্য দেখতে ভিউ পয়েন্টগুলিতে ফোনবন্দি করা থেকে সেলফিতে মত্ত আট থেকে আশি।
এ দিন সকালে দার্জিলিঙের রাস্তায় গাড়ির লাইনে যানজট হয়েছে। বেলা যত বেড়েছে, ভিড় বেড়েছে তত বেশি। দার্জিলিঙের চৌরাস্তা থেকে চকবাজারে মাস্ক না পরে, দূরত্ব বিধি না মেনে পর্যটকেরা ভিড় করেছেন। একই পরিস্থিতি সরকারি, বেসরকারি বাসেও। ঠাসা যাত্রী নিয়ে পাহাড়ে ওঠানামা করেছে গাড়িগুলি। ওমিক্রন সংক্রমণের গতি ঊর্ধ্বমুখী। এই সময় পাহাড়ের এমন পরিস্থিতিতে সঠিক করোনা বিধি পালনের দাবি উঠছে। গাড়িগুলিতে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় দুর্ঘটনার ঝঁকিও থাকছে।