ডুয়ার্সে পর্যটকের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষবরণ উপলক্ষে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় ঢল নেমেছে পর্যটকের। ডুয়ার্সের মূর্তি গরুমারা লাল ঝামেলা জলঢাকা চামুর্চি-সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল সারাদিন ধরে। তবে করোনার নিয়ম মানতে দেখা গেল না প্রায় কাউকেই।
করোনার কারণে বর্ষবিদায় বা বর্ষবরণের কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সকাল পরিবার বন্ধু বান্ধদের নিয়ে বহু মানুষ বেরিয়ে পড়েন ডুয়ার্সের পাহাড় নদী জঙ্গলে ঘুরতে। অনেকেই রাতে হোমস্টে এবং রিসর্টগুলোতে থেকে সেখানেই বর্ষবরণ আনন্দ উপভোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। রিসর্ট এবং হোমস্টেগুলিতে তাই ভাল ভিড় দেখা গিয়েছে। তাই হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখেও।
পর্যটন ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান বলেন, “পূজার পর থেকেই পর্যটকরা করোনা আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে ডুয়ার্সে আসতে শুরু করেছেন। তবে সে ভাবে পর্যটকদের ভিড় দেখা যাচ্ছিল না। বড়দিনের পর আজ পর্যটকদের ভালই ভিড় হয়েছে। আমাদের ব্যবসা পর্যটকদের নিয়ে তাই অনেক দিন পর পর্যটকদের ভিড়ে আমরাও খুশি।”
দীর্ঘ লকডাউন শেষে পূজার পর থেকেই আস্তে আস্তে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়। যা বড়দিন এবং নতুন বছরের প্রাক্কালে যা আরও বেড়েছে। এমনই এক পর্যটক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য জানান, এমনিতেই করোনা আর লকডাউনের কারণে কোথাও ঘুরতে যাননি। আর এ বছর কোথাও বর্ষবরণ উপলক্ষে কোনও অনুষ্ঠানও নেই। তাই পরিবার নিয়ে সকালেই বেড়িয়ে পড়েছেন। ২ দিন ছুটির মেজাজে কাটাতে চান
তবে উদ্বেগের কারণ হল, করোনার জন্য যেটুকু নিয়ম এখনও মানতে বলা হচ্ছে তাও অনেকে মানছেন না। যেমন বেশির ভাগ পর্যটককেই দেখা গেল মাস্ক ছাড়া। ছিল না সামাজিক দূরত্বও। অনেক পর্যটককে মূর্তি নদীতে নেমে স্নানও করতে দেখা গেল। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বন দফতরের নজরদারি এড়িয়ে কী ভাবে পর্যটকরা মূর্তি নদীতে নেমে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।