Changrabandha

পর্ষদের বৈঠকেও পর্যটন-হাতছানি 

সীমান্ত এলাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তিন বিঘাকে কেন্দ্র করে পর্যটনের সম্ভাবনার কথা উঠে এল চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেখলিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:০৬
Share:

চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

সীমান্ত এলাকায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তিন বিঘাকে কেন্দ্র করে পর্যটনের সম্ভাবনার কথা উঠে এল চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে। সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনাও হয়। এলাকায় পর্যটনকেন্দ্র তৈরির পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানান পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী।

Advertisement

এর আগে পর্ষদের বেশ কয়েকটি বৈঠকে এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে অনেক সদস্যই উপস্থিত না থাকলেও এ দিনের বৈঠকে চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী ছাড়াও এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান, জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক রামকুমার তামাং, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়া ও সঞ্জয় পণ্ডিত, দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার ও নুপুর বর্মণ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধার্থ দর্জি, পর্ষদের এগ্‌জিকিউটিভ অফিসার অনির্বাণ দত্ত, মেখলিগঞ্জের ওসি রাজু সোনার-সহ পর্ষদের প্রায় সব সদস্যই উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের বেশ কয়েকটি বৈঠকে সাংবাদিকদের ভিতরে থাকার অনুমতি দেওয়া হলেও এ দিনের বৈঠকে সাংবাদিকদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে পর্ষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেশ কয়েক জন সদস্যের মধ্যে তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। বিশেষ করে নতুন বছরের শুরুর দিন থেকেই চ্যাংরাবান্ধা স্থল বন্দর এলাকায় বাংলাদেশগামী প্রতিটি ট্রাক থেকে ৫০ টাকা করে যে রাজস্ব নেওয়া শুরু করেছিল চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদ তার বিরোধিতা করেন কয়েক জন সদস্য। এমনকি ওই টাকা তোলা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। বিশেষ করে উন্নয়ন পর্ষদের নামে টাকা তোলার দায়িত্ব চ্যাংরাবান্ধা ট্রাক মালিক সমিতিকে কেন দেওয়া হল তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

Advertisement

চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এলাকার বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান, মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়তি সরকার ও নূপুর বর্মণ জানিয়েছিলেন, এ ভাবে ট্রাক থেকে টাকা তোলার সিদ্ধান্তের কথা তাঁদের জানানো হয়নি। যদিও বিতর্ক তৈরি হতেই ট্রাক থেকে টাকা নেওয়া বন্ধ করে পর্ষদ। পর্ষদ চেয়ারম্যান জানান, টেকনিক্যাল কারণে রাজস্ব আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে এই বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পরেশবাবুকে। তবে বৈঠকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন পরেশবাবু। ওই বিষয়েও এক দিন বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement