পুজোর মুখে গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে পর্যটনের মেলবন্ধন করে তিনদিনের পর্যটন উৎসব হতে চলেছে শিলিগুড়িতে। নাম দেওয়া হয়েছে-‘ভ্রমণ ব্রীহি ফেস্টিবল-২০১৬’।
উদ্যোক্তাদের দাবি, বর্তমানে অত্যন্ত পাহাড়ের জনপ্রিয় হোমস্টে থেকে উত্তরের তুলাই পাঞ্জি বা সুন্দরবন্দের মধু। অরুণাচলের গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে নেপালের ঐতিহ্যমণ্ডিত পোশাক, লোকনৃত্য বা ছবি সবই তুলে ধরা হবে উৎসবে। আর উৎসবকে পুরোদস্তুর মেলার আমেজ দিতে থাকবে কেনাবেচার জন্য কৃষি হাট’ও। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর, মহালয়া দিন থেকে তিনদিন শহরের সিটি সেন্টার প্রাঙ্গনে এই উৎসবের আয়োজন করেছে অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজম বা অ্যাক্ট। গত ২০০১ সাল থেকে সংগঠন প্রতি বছর নানা থিমে বিশ্ব পযর্টন দিবসকে সামনে রেখে এমন অনুষ্ঠান করে আসছে।
বুধবার সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পযর্টন দিবস উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে পালন করা হবে। তাই তার তিনদিন পরে বিভিন্ন প্রান্তের লোকজনকে একজোট করেই উৎসবটির করা হচ্ছে। অ্যাক্টের আহ্বায়ক রাজ বসু জানাচ্ছেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পযর্টন নিয়ে নতুন ভাবনা থেকে কাজ করা শুরু করেছে। চিরাচরিত এলাকা ধরে পর্যটনের ধারণা পাল্টাচ্ছে। সেখানে গ্রামীণ পযর্টনও উঠে আসছে। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রামের পরিবেশে থেকে জৈব সারের সব্জি, চালের খাবার সঙ্গে পোশাক, সংস্কৃতিকে জানার আগ্রহ বাড়ছে। ধানকে সংস্কৃতিতে ব্রীহি বলা হয়। আর ধান ছাড়া গ্রাম ভাবাই যায় না। সেই ভাবনা থেকেই এবার আমাদের উৎসব- ভ্রমণ ব্রীহি।’’
উৎসবের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর নিধি সিংহ, অলকা শর্মা’রা জানিয়েছেন, উৎসবকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ‘কৃষি চৌপাল’। সেখানে দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থা, দফতরের কৃষি বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞরা তিনদিন ধরে নানা আলোচনায় যোগ দেবেন। আরেকটি অংশে থাকবে ‘কৃষি হাট’। সেখানে ভুটানের পর্যটন, নেপালের চা ও গ্রামীণ পর্যটন, উত্তরবঙ্গের ১০টি বাছাই করা কৃষি দল, সিকিমের জৈব চাষিরা, সুন্দরবনের মধু, অরুণাচলের পর্যটন ব্যবসায়ীরা ছাড়াও উত্তর দিনাজপুরের ৪৩টি প্রজাতির চালের চাষিরা পসার নিয়ে বসবেন। এর পাশেই আরেকটি অংশে থাকবে ‘ব্রীহি মণ্ডপ।’ সেখানে লোকসংস্কৃতির নানা অনুষ্ঠান হবে।