— ফাইল চিত্র।
মহালয়ার দিন সকালে অনুষ্ঠান হবে। তারপরে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত টানা চলবে দিনরাতের অনুষ্ঠান। সেই সূচিতে যেমন রাতের বেলায় মহানন্দার নদীঘাটে আতসবাজির খেলা হয়েছে। তেমনই রয়েছে দশমীতে শহরের রাস্তায় বিসর্জনের সিঁদুর খেলা আর দেদার মিষ্টিমুখ। থাকছে ডান্ডিয়া নাচের আয়োজনও। আর এসবেরই নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিলিগুড়ি কানির্ভাল’, যার আয়োজন করছেন রাজ্য পর্যটন দফতর। তরুণ প্রজন্মের কথা ভেবে রাখা হচ্ছে ‘সেলফি জ়োন’। পাশাপাশি হওয়ার কথা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
সরকারি সূত্রে খবর, গত শুক্রবার নথিপত্র তৈরির মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থাকেও এই অনুষ্ঠানে জোড়া হবে। মহালয়ার দিন ভোরে পুজো গাইড ম্যাপের উদ্বোধনের পরে শহরে শোভাযাত্রা দিয়ে আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে কার্নিভালের। এর আগে ২০১৪ সালে শিলিগুড়ি কার্নিভাল হয়েছি। সেবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, পুরসভা ও বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে নিয়ে কার্নিভাল হয়েছিল। তবে সেটা হয়েছিল ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের আগে। তারপরে নানা কারণে আর শিলিগুড়ি কার্নিভাল হয়নি।
এ বছর গোড়া থেকেই কার্নিভালের জন্য উদ্যোগী হন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। পুজোর সময় শহরে পুজো দেখা, মন্ডপে ঘোরা বা রেস্তরাঁয় খাবার খাওয়ার বদলে আর কী কী করা যায় তা তিনি অফিসারদের দেখতে বলেন। সেই মতো গত একমাস ধরে সরকারি স্তরে নানা আলোচনার পরে কার্নিভালের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘সকল স্তরের মানুষ যাতে কার্নিভালে সামিল করতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।’’
পর্যটন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, শীতের সময় কোথাও বড়দিনের কার্নিভাল, পাহাড়ে দার্জিলিং কার্নিভাল এবং অরেঞ্জ বা কমলালেবু ফেস্টিভ্যাল হয়। অনেক রাজ্যে বছরের বিশেষ সময়ে নানা ধরনের কার্নিভালের রীতি রয়েছে। সেভাবেই শিলিগুড়ি কার্নিভালকে সরকারিস্তরে ‘ব্রান্ডিং’ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাতে পুজোয় উত্তরবঙ্গ, সিকিমে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে শিলিগুড়িও একটি আকর্ষণ হবে।
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন ভোর সাড়ে ৬টায় হিলকার্ট রোডে পুজো গাইড ম্যাপের উদ্ধোধনের পর শোভাযাত্রা বার হবে। তারপরে শিলিগুড়ি কার্নিভালের প্রচার গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে শুরু হবে। পুজোর আগে ১ অক্টোবর দীনবন্ধু মঞ্চে হবে স্কুল ক্যুইজ প্রতিযোগিতা। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় মহানন্দা সেতুর নীচে নদী ঘাটে আতসবাজির খেলা এবং ফানুস ওড়ানো হবে। দশমীর দিন সকালে শিলিগুড়ি থানা মোড় থেকে জলপাইমোড় অবধি সিঁদুর খেলার অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।