নাজ়িমুদ্দিনের সঙ্গে নিজস্বী তুলতে ভিড় তৃণমূল কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র।
মুখে সেই চিরপরিচিত লম্বা দাড়ি। গায়ে আলখাল্লার মতো জড়ানো তৃণমূলের পতাকা। মাথায় সবুজ টুপি। যা প্রায় ঢেকে ফেলেছে চোখ-মুখ। হাতেও তৃণমুলের পতাকা। পোশাকের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দু’বছর পর আবার ২১ শে জুলাইয়ের সভায় হাজির মাথাভাঙার ‘নাজ়িমুদ্দিন চাচা’। মেটালেন কর্মী-সমর্থকদের নিজস্বীর আবদারও।
ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে বিগ্রেডের ময়দান কিংবা ২১ শে জুলাইয়ের সভাস্থল, তৃণমূলের ‘পোস্টার বয়’ নাজ়িমুদ্দিন সদা হাজির সর্বত্র। তৃণমূলের মাথাভাঙা ১ ব্লকের পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফকিরের কুঠি গ্রামের বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব এই প্রৌঢ়। করোনার কারণে গত দু’বছর কলকাতায় যেতে পারেননি। এ বার সুযোগ হওয়াতে ধর্মতলায় একুশের সমাবেশে চেনা সাজে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের প্রতি তাঁর ভালবাসা অসীম। তাই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হলেও মাথাভাঙা পুরসভা নির্বাচনে দলের হয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের প্রচার সেরেছেন। প্রথম জীবনে যদিও নাজ়িমুদ্দিন ছিলেন কংগ্রেস। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন থেকে তৃণমূল দল গঠন করলেন তখন থেকেই তিনি তৃণমূলের একনিষ্ঠ সৈনিক। দলনেত্রীর লড়াকু মানসিকতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম তাঁর জীবনের অনুপ্রেরণা। পেশায় নাজ়িমুদ্দিন রিকশাচালক। অভাবের সংসার। তবে তা নিয়ে হেলদোল নেই তাঁর। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের হয়ে প্রচারই প্রৌঢ়ের জীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য। জানান, প্রতিটি জনসভায় যখন জান, দলের কর্মীরা অনেকেই তাঁর সঙ্গে মোবাইলের নিজস্বী তোলেন। নেতারাও উৎসাহ দেন। আর তাতেই তাঁর সমস্ত দুখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। প্রিয় নেত্রীকে এ বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান নাজ়িমুদ্দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন তখন কালীঘাটে তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রণামও করে এসেছিলেন ‘নাজ়িমুদ্দিন চাচা’। তার পর আর সরাসরি দেখা হয়নি ঠিকই কিন্তু মমতার আদর্শ তাঁর মনেপ্রাণে। সেই টানেই বার বার একুশের সমাবেশে হাজির হয়ে ‘নজর কাড়েন’ নাজ়িমুদ্দিন।