ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ। —নিজস্ব চিত্র।
আমি ভাওয়াইয়া শিল্পী। গান মঞ্চস্থ করতেই ভাল লাগে। তার পাশাপাশি, রাজনীতির প্রতিও একটা ভালবাসা ছিলই। যা আমার দাদা বিনয়চন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া। ১৯৯৮ সাল থেকে দাদা তৃণমূল কর্মী, আবার দলের পঞ্চায়েত সদস্যও। এ বারও জিতেছেন।
ছোট থেকে দেখেছি, দাদার কাছে কত মানুষ নানা সমস্যা নিয়ে ভিড় করতেন। তখন থেকেই মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল। তার পরে বিয়ে হয়ে যায়। এখন আমার মেয়ে কলেজ পড়ুয়া, ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। এই প্রথম তৃণমূলের হয়ে জেলা পরিষদের আসনে লড়ার সুযোগ আসে। ১২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হই। এ বারই আমার প্রথম ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া। স্বামী মুকুলচন্দ্র দাসের সঙ্গে এক দিন আগেই কলকাতায় পৌঁছই। শুক্রবার সকাল সকাল রওনা হই ধর্মতলার দিকে।
চার দিকে তখন মানুষের ঢল। বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়েছিলাম সবাই। মঞ্চে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) পৌঁছতেই এক আলাদা উন্মাদনা। ২১ জুলাইয়ের ঘটনা যখন ঘটে, তখন রাজনীতিতে ছিলাম না। কিন্তু প্রতি বছর যে তা স্মরণ করে সভা হয়, এক কথায় অভাবনীয়। প্রতি বার দেখি, মানুষ এই দিনের অপেক্ষা করেন। এ বার এসে বুঝেছি, কেন করেন। পুজোর জন্য যেমন অপেক্ষা করি, এ বার থেকে এই সভায় যোগ দিতে অপেক্ষা করে থাকব।