প্রতীকী ছবি
গঙ্গারামপুরের বিধায়ক গৌতম দাসকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের কার্যকরী জেলা সভাপতি নিয়োগ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার গৌতমকে ওই পদে নিয়োগ করায় অন্য দুই কার্যকরী জেলা সভাপতি সোনা পাল ও দেবাশিস মজুমদারের ‘ডানা ছাঁটা’ হল বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ। ঘটনাচক্রে শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হরিরামপুরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মধুমিতা রায়ের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে সোনার বিরুদ্ধে। দায়িত্ব পেয়ে তার নিন্দাও করেন গৌতম। তিনি বলেন, ‘‘দলনেত্রী কার্যকরী সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন। জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ফিরলে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির উপরে হামলা নিন্দনীয়। দল নজর রাখছে।’’
গত কাল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সোনা বলেছিলেন, ‘‘মধুমিতা বিজেপি করেন। ও আর দলেই নেই।’’ তা নিয়ে গৌতম বলেন, ‘‘দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা যায় না। দল অনুমোদন করবে না।’’ জেলায় কার্যকরী সভাপতি হিসেবে এত দিন ছিলেন দেবাশিস ও সোনা। দলীয় সূত্রে খবর, মমতা তাঁদের নাম উল্লেখ না করেই গৌতমকে কার্যকরী সভাপতি নিয়োগ করেন। তৃণমূলের একাংশের দাবি, দেবাশিস ও সোনার বিরুদ্ধে নানা সময় অনেক অভিযোগ উঠেছে। সেই খবর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে। তাই গৌতমের মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাকে কার্যকরী সভাপতি করে তাঁদের ‘ডানা ছাঁটা’ হল।
জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘গৌতমকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। কিন্তু কারও নাম বাদ দিতেও বলেননি।’’
এ দিকে, হরিরামপুরের ঘটনা নিয়ে সোনা ও মধুমিতাকে দলের তরফে শো-কজ় করা হচ্ছে বলে খবর। দুই নেতাকে ডেকে ‘সংঘাতের’ কারণ জানতে চাইছেন জেলা নেতৃত্ব। তার পরেই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এ নিয়ে অর্পিতা বলেন, ‘‘দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উপরে হামলা বরদাস্ত করা হবে না। যাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের তরফেও তদন্ত করে দেখা হবে।’’ হরিরামপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে।