সমর্থনে: মেগা রোড শোয়ের পরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
এক সময়ে দলের যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন মালদহ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে যোগ দিতেই বুধবার মালদহ জেলা যুব তৃণমূলের ‘মেগা রোড-শো’ এবং সমাবেশ থেকে নাম না করে শুভেন্দুকে ‘গদ্দার’ বলা হল। সমাবেশ মঞ্চে নেতাদের পাশাপাশি যুব সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরাও মিছিলে এই স্লোগান দেন। জয়ধ্বনি করা হয় বর্তমান যুব তৃণমূল রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এ দিন যুব তৃণমূলের রোড-শো ঘিরে হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের ভিড়ে দুপুর একটা থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মালদহের জেলাসদর ইংরেজবাজার শহরের একাংশ। বিভিন্ন রাস্তায় বেধে যায় যানজট। মিছিল শুরুর আগে রাজমহল রোড-সহ একাধিক রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ। ফলে যাতায়াতের চরম সমস্যায় পড়তে হয় শহরবাসীকে।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন ইংরেজবাজার শহরে মেগা রোড-শো এর ডাক দেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস। জেলার ১৫ টি ব্লক ও দুটি পুরসভার যুব সংগঠনের কর্মীরা এ দিন সকাল থেকে জমায়েত করে মালদহ কলেজ মাঠে। বেলা একটায় কলেজ মাঠ থেকেই শুরু হয় সেই রোড শো। ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, জেলা সভাপতি মৌসম নুর, জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও। রাজমহল রোড, কেজে সান্যাল রোড, বিজি রোড হয়ে সেই রোড শো শেষ হয় জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘এই সমাজে গদ্দারদের ঠাঁই নেই। গদ্দার থেকে দূরে থাকুন।’’ মৌসম বলেন, ‘‘কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষক-শ্রমিক বিরোধী নানা আইন কার্যকর করে জীবন বিপন্ন করে তুলছে। রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ আজ দিশাহারা। সে কারণে এই মেগা রোড-শো থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হল। জেলার সমস্ত ব্লকে এই কর্মসূচি চলবে।’’