প্রতীকী ছবি।
শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপিতে। দীর্ঘদিন তিনি মালদহে জেলায় পর্যবেক্ষক থাকায় এই জেলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে শুভেন্দুর প্রভাব রয়েছে। ফলে শুভেন্দু দল ভাঙানোর খেলায় নামতে পারেন আশঙ্কা করে সবাই ‘ঐক্যবদ্ধ’ থেকে মোকাবিলার সিদ্ধান্ত নিল মালদহ জেলা তৃণমূল।
দলীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দলের জেলা কার্যালয় নুর ম্যানসনে তৃণমূল নেতৃত্ব জরুরি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয়। ব্লক ও অঞ্চল কমিটি এখনও ঘোষিত না হওয়ায় এ দিন বৈঠকে অনেকে সরব হন। যদিও দলের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে, দ্রুত কমিটি গড়ে বিধানসভা ভোটের জন্য লড়াইয়ে নামা হবে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি যোগের পরই এই জেলার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সন্দেহজনক বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব জানতে পেরেছে, বেশ কয়েকজনের সঙ্গে শুভেন্দুর তরফে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। আর তাই, এ দিন বিকেল চারটে থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত বৈঠক চলে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে অনেকে স্বীকার করে নেন, জেলায় দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষক থাকায় শুভেন্দুর সঙ্গে জেলার একাধিক নেতাদের পাশাপাশি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ও পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের সখ্য রয়েছে। এই সখ্যকে কাজে লাগিয়ে দল ভাঙানোর খেলায় নামতে পারেন শুভেন্দু। সে কারণে সতর্ক থেকে ‘ঐক্যবদ্ধ’ হয়ে দলের ভাঙন ঠেকাতে হবে। পাশাপাশি, দলীয় কর্মসূচি বাড়ানো, সমস্ত স্তরের নেতাদের অংশগ্রহণ করানোর পক্ষেও মত দেন অনেকে।
বৈঠকে আলোচনা হয়, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে বুঝিয়ে দলে রাখতে হবে। জেলা কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। ব্লক ও অঞ্চল কমিটি দ্রুত ঘোষণা করা হবে। তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুর এ দিন বলেন, ‘‘নেতৃত্বদের নিয়ে সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’’