প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ, বিভ্রান্তি এড়াতে এ বার জেলাস্তরে কমিটি গড়ল তৃণমূল। শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগের কথা নেতারা জানিয়েছিলেন। যার মধ্যে মূল দুই অভিযোগ হল, এই কার্ড অনেক নার্সিংহোম ফিরিয়ে দিচ্ছে এবং কোনও রোগে কত টাকার বিমা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
‘দুযারে সরকার’ প্রকল্পে যে কার্ড পেতে ভিড় উপচে পড়ছে সেই পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ বা বিভ্রান্তি দলের পক্ষে বিধানসভা ভোটের আগে মোটেই ভাল নয়, এটা বুঝেই কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী। এ দিনের বৈঠকেই কমিটি গড়ে ফেলা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভায় তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর চিকিৎসক প্রদীপ বর্মাকে। প্রদীপবাবু নিজেও জলপাইগুড়ি শহরের একটি নার্সিংহোমের মালিক। কমিটিতে সহ আহ্বায়ক এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান বিজয় বর্মণ। দলের সব বিধায়ক এবং চারটি শাখা সংগঠনের সভাপতিদের কমিটিতে রাখা হয়েছে।
রাজ্যের মধ্যে জলপাইগুড়িতেই জেলা স্তরে এমন দলীয় কমিটি গঠন হল বলে দাবি। কৃষ্ণকুমার বলেন, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে মানুষ দু’হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছে। সেই প্রকল্পকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। সেই চেষ্টা রুখব। সে কারণেই কমিটি।”
জেলা তৃণমূল সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চলছে। সেই সঙ্গে কত টাকা বিমা পাওয়া যায় তা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এই কার্ড থাকলে যে কোনও রোগেই ৫ লক্ষ টাকা মিলবে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এক একটি রোগের ক্ষেত্রে টাকার অঙ্ক একেকরকম। সেটা মানুষের কাছে তুলে ধরাই হবে কমিটির কাজ। তালিকাভুক্ত কোনও নার্সিংহোম কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে অভিযোগ পেলে তৃণমূলের এই কমিটি হস্তক্ষেপ করবে। প্রয়োজনে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবে। তাতেও না হলে প্রশাসনে জানানো হবে বলে খবর।