প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে মালদহের দু’টি আসনেই হার হয়েছিল তৃণমূলের। আর কয়েক মাস পরেই ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহে পুরভোট। এর আগে পার্শ্ববর্তী জেলার কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলকে মালদহে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়ে দিল। এমনটাই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
এ দিকে, উপনির্বাচনের এই ফলাফলকে সামনে রেখে এনআরসি বিরোধী প্রচার আরও জোরকদমে শুরু করতে চাইছে জেলা তৃণমূল। দলের নেতাদের একাংশ মতে, লোকসভা ভোটে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপি অনেক এগিয়ে থাকলেও উপনির্বাচনে দলের এনআরসি বিরোধী প্রচার বিজেপিকে কুপোকাৎ করে দিয়েছে। এই ফর্মুলা মালদহেও কার্যকর করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের ব্লকে ব্লকে রিলে পদযাত্রা শুরু করবে তারা। সেই কর্মসূচি শেষে কেন্দ্রীয় ভাবে জেলা সদরে একটি বড় সমাবেশও করার কথা রয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জেলা সভাপতি মৌসম নুরের বৈঠকে এই নিয়ে একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে। বিজেপি অবশ্য পালটা প্রচারে নামবে বলে জানিয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহ জেলার ১২ টি আসনের একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল। তবে পরে দীপালি বিশ্বাস, নীহাররঞ্জন ঘোষ, সাবিনা ইয়াসমিন ও সমর মুখোপাধ্যায়—এই চার বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু তাতেও হাওয়া ঘোরেনি। লোকসভা ভোটে, ১২টি বিধানসভা এলাকাতেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এ দিকে, জেলার দু’টি পুরসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও দলীয় দ্বন্দ্বের জেরে মাস তিনেক আগে দুই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা এনেছিলেন কাউন্সিলররা। শেষ পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দু’টি পুরসভায় আস্থা ভোট আর হয়নি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘কালিয়াগঞ্জের ফলাফলকে কাজে লাগিয়ে আমরা মালদহে বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি বিরোধী প্রচারকে আরও জোরদার করতে চাই। এ দিন কলকাতায় দলীয় বৈঠকে দলনেত্রী এমন নির্দেশও দিয়েছেন।’’
এ দিকে বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের এনআরসি বিরোধী প্রচারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া যায়নি, এটা কিছুটা হলেও সত্য। কিন্তু লোকসভা ভোটের সঙ্গে বিধানসভা ভোট মেলালে হবে না।’’