থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন-এর একটি প্রেস বিবৃতিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। ওই বিবৃতিতে কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় এবং কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোচবিহার জেলার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৩ শে জুন কামতাপুর লিবারেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনফরমেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি ডিএল কোচ একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে পার্থপ্রতিম এবং বিনয়কৃষ্ণকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে লেখা, ‘পার্থপ্রতিম রায় ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ কলকাতার নেতাদের তালে তাল মিলিয়ে কামতাপুর আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ওঁরা ভুলে গিয়েছেন যাঁরা পৃথক রাজ্যের আন্দোলনকারীকে আজ বিচ্ছিন্নতাবাদী বলছেন, কিছু দিন আগে তাঁরাই কোচবিহারের কামতাপুর দলগুলির মদতে নির্বাচন উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের নিজস্বতা বলে কিছু নেই। এরা দলদাসে পরিণত হয়েছে।’
এই বিবৃতির ভিত্তিতে শুক্রবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় তৃণমূল কর্মী সঞ্জীব রাজভড় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়াও তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় পুলিশ সুপারের দফতরে এই বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেন। পার্থপ্রতিম রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘এই চিঠি নিয়ে আমি খুব বিচলিত বা চিন্তিত নই। গণতান্ত্রিক দেশে অসহিষ্ণু আন্দোলন কখনওই সমর্থনযোগ্য নয়। রাজবংশী সমাজের মানুষ ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার আদর্শ ও তাঁর কর্মকাণ্ড, শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনুসরণ করেন তাঁরা সকলেই জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১০ বছর ধরে তাঁদের মতো করেই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।’’