একশো দিনের কাজে বেনিয়মের অভিযোগ মালদহে। নিজস্ব ছবি।
একশো দিনের প্রকল্পে গরমিলের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় রাজ্যের গ্রামেগঞ্জে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। সেই আবহে এ বার প্রকল্পের ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল শাসকদলের এক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। মালদহের গাজলের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
এই অভিযোগের বিষয়ে পঞ্চায়েত প্রধান রিজিয়া সুলতানার সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ। অন্য দিকে, সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি ফারাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই যাবতীয় কাজ হয়েছে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে ৩৫৬টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে ছিল ড্রাগন ফলের চাষ, কলাগাছ চাষ, পোল্ট্রি শেড নির্মাণ। স্থানীয়দের দাবি, কোনও কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিজিয়া এবং ফারাদ। এই কাজে জড়িত পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশও! এ নিয়েই জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘কোথাও রিগিং করে, কোথাও আবার সদস্যদের কিনে পঞ্চায়েত দখল করেছে তৃণমূল। আমরা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীকে জানাব। এই সব ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’’
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘দল কাউকে দুর্নীতি করার অনুমতি দেয়নি। প্রশাসন তদন্ত করবে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’’