TMC

দ্বন্দ্ব মুছে প্রতিবাদে এক

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদকে সামনে রেখে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলে ঐক্যের ছবি।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২০ ১০:৩৫
Share:

শামিল: কোচবিহারে প্রতিবাদ সভা। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

সাংবাদিক বৈঠক করতে হবে— পরামর্শ ছিল পিকে-র টিমের। কী বলতে হবে এবং কারা থাকবেন, তা-ও জানিয়ে দিয়েছিল তারা। তারই সৌজন্যে জলপাইগুড়িতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে শনিবার দেখা গেল ‘বেনজির’

Advertisement

এক দৃশ্য। জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী সাংবাদিক বৈঠক করছেন এবং তাঁর বাঁ পাশে বসে রয়েছেন জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়, ডানপাশে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ। জলপাইগুড়ি শহরের মার্চেন্ট রোডের গুরজংঝোরা ভবনে বছরখানেক ধরে জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিস চলছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি তথা তৃণমূলের কৃষক সংগঠনের জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথকে সেই অফিসে এ দিনই প্রথম দেখা গেল। সম্প্রতি দুলালকে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র করা হয়েছে। তার পরেও তাঁকে এই অফিসে দেখা যায়নি। দুলালবাবুর অনুগামীদের অবশ্য অভিযোগ, এত দিন তাঁকে ডাকাই হয়নি।

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনার প্রতিবাদকে সামনে রেখে শনিবার জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলে এমনই ঐক্যের ছবি।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, শুক্রবারই তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি ঘোষিত হয়েছে। জেলার সব গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সেই কমিটিতে রেখেছে পিকে-র টিম। এ বার রাস্তাতেও দলের নেতাদের একসঙ্গে নামাতে চাইছে তারা। গত লোকসভা ভোটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে

তৃণমূলের ভোটবাক্সের ক্ষতি হয়েছে বলে দলের নেতাদের একাংশ দাবি করেন। জেলায় সভাপতি রদবদলের পরেও সেই দ্বন্দ্ব মেটেনি। এখন হাথরস নিয়ে আন্দোলনে যাতে ঐক্যের ছবি দেখা যায়, তাতেই জোর দিয়েছে পিকে-র টিম। সূত্রের খবর, সেই পরামর্শেই কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ফোন

করেছিলেন দুলাল দেবনাথকে। কৃষ্ণ কল্যাণী সভাপতি হওয়ার পরে জেলা তৃণমূলের একাধিক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওঠারই ডাক দুলালবাবু পাননি বলে নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি। দুলালবাবুকেও বারবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের পাশে দেখা

গিয়েছে এবং তিনি বিদ্রোহীদের মদত দিচ্ছেন বলে কিষাণপন্থীদের অভিযোগ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement