নিজস্ব চিত্র।
এক বিজেপি কর্মীকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার লক্ষ্মীর বাজার এলাকায়।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, তাদের দলীয় কর্মী অধীরচন্দ্র বর্মনের উপর হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তৃণমূলের ১২ জন দুষ্কৃতী চারটি বাইকে করে এসে অধীর বর্মনের উপর হামলা চালিয়েছে। তাঁকে বাঁচাতে গেলে অধীরের পরিবারের আরও তিন জন সদস্য আহত হন। রাতেই তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধীরের ভাই শিশুনাথ বলেন, “শনিবার রাতে দাদাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যখন ছুরি নিয়ে হামলা চালায় তখন আমি দাদাকে বাঁচাতে যাই। তারা আমাকেও আক্রমণ করে। সেই হামলায় আমার হাত ভেঙে যায়।” শিশুনাথের আরও দাবি, তাঁদের দু’জনকে বাঁচাতে অধীরের স্ত্রী এবং মা ছুটে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বাড়িছাড়া ছিলেন অধীর চন্দ্র বর্মন। গত ১০ দিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার পর ফের ওই বিজেপি কর্মীর উপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “বিজেপি-র পক্ষ থেকে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। বিজেপি-র গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা। ইতিমধ্যে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা তদন্ত করলেই সম্পূর্ণ বিষয় সামনে আসবে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ওই পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। শনিবার রাতেই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।