মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। — ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নিজের বুথেই পরাজিত হল তৃণমূল। জয়ী হল কংগ্রেস। মালদহের মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের কালিয়াচক-১ পঞ্চায়েতের ১৮৪ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন হাসিদুর রহমান। কংগ্রেস প্রার্থী হন মেহতাব শেখ। তিনি ১১০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। কয়েক মাস আগে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মন্ত্রী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, এ বারের লড়াইটা ‘তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের’। সেখানে বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএম তাদের ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ হবে না। মঙ্গলবার নিজে যে বুথে ভোটদান করেছেন, সেখানে তৃণমূলের হারের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমার যেটা রেসিডেন্সিয়াল বুথ, যেখানে আমি থাকি, সেখানে তৃণমূল ৬০০ ভোটে লিড করেছে। এটা সুজাপুর বিধানসভা এলাকা। ওখানে আমার পরিবারের ভোটাররা রয়েছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমার বিধানসভা এলাকা মোথাবাড়ি। নিজের ভোট নিজে দেব বলে আমি ট্রান্সফার করেছিলাম। ওই বুথে তৃণমূলের ভোট কম পড়েছে।’’ কয়েক মাস আগে সাবিনা বলেছিলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের লড়াই কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপির বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াই হবে তৃণমূলের একটা অংশের সঙ্গে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই হবে। এর জন্য প্রস্তুত থাকুন।’’ তিনি এ-ও জানান যে, কংগ্রেস প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলে তৃণমূল যাঁদের প্রার্থী করতে পারবে না, তাদেরই দাঁড় করিয়ে দেবে। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাই নিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা সতর্ক থাকব। আমরা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষকে দেব। ভাল লোককে প্রার্থী করুন।’’ মঙ্গলবার তাঁর বুথে তৃণমূলের ‘পিছিয়ে পড়ার’ কারণ বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘এক মোড়লকে কংগ্রেস দাঁড় করিয়েছে। ফলে ওখানে সামাজিক ভাবে ভোটটা ওরা পেয়েছে। তবে উপর মহলে আমরাই জিতব।’’
উল্লেখ্য, বাবুরহাট জুনিয়ার হাই স্কুলের ১৮৪ নম্বর বুথ সাবিনার নিজের বুথ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাবিনা এখানেই ভোট দেন। সেখানেই পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। অন্য দিকে, রবিবার মন্ত্রী দলবল নিয়ে মালদহর মোথাবাড়িতে স্ট্রংরুমে ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। যদিও মন্ত্রী সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমার কোনও শখ নেই ‘স্ট্রংরুম’-এ যাব। বিরোধীরাই ওখানে ঢুকে বসে রয়েছে। স্ট্রংরুমে আমাদের যেতে দেওয়া হয়নি বলে আমরাই প্রশ্ন করতে গিয়েছিলাম কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।’’