বিক্ষোভের চাপে পদ থেকে ইস্তফা মালদহের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। — নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে পদ থেকে ইস্তফা শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যের। ইস্তফা দিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ দলের বিরুদ্ধে। এমন দুর্নীতি হয়েছে ইস্তফা দেওয়ার লাইন পড়ে যাবে বলে খোঁচা বিজেপির।
আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হতেই দুর্নীতির অভিযোগে বার বার ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। দুর্নীতি এবং স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলছেন এলাকাবাসী এবং বিরোধীরা। কাঠগড়ায় শাসকদল। সেই আবহেই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে পদত্যাগ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বড়োই গ্রাম পঞ্চায়েতের চয়নপুর বুথের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য টিঙ্কর মহালদার। ইস্তফা দিয়েই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের চার দিকে শুধু দুর্নীতি আর কাটমানি। তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।’’ পদ থেকে ইস্তফা দিলেও এখনই দল ছাড়ছেন না টিঙ্কর। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। “মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিজেদের ঘরে রেখেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এর পর পদত্যাগের লাইন পড়ে যাবে।” দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে খোঁচা বিজেপির।
পঞ্চায়েত সদস্য টিঙ্কর আরও বলেন, ‘‘দুর্নীতি হয়েছে তাই মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। এলাকায় গেলে মানুষ গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি করছে। কিন্তু আবাস যোজনার তালিকায় আমার কোনও ভূমিকা নেই। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। তবে দলে থাকব।’’
উত্তর মালদহ জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রেখেছেন তৃণমূল নেতারা। এ দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তের ফলে যাঁদের পাকা বাড়ি আছে তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। দুর্নীতি দেখে দেখে মানুষ ক্ষুব্ধ। এখন পদত্যাগ করা ছাড়া তাঁদের কাছে কোনও উপায় নেই। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থী পাবে না।’’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক আধিকারিক অনির্বাণ বসু জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে।