প্রতীকী ছবি।
সক্রিয় রাজনীতি থেকে প্রায় দেড় বছর দূরে ছিলেন গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত মিত্র। কিছুদিন আগে পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হওয়ার পর ফের সক্রিয় হয়েছেন তিনি। গোটা শহর তাঁর ছবি দেওয়া পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন পর প্রশান্তের এমন সক্রিয়তায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাদের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে পুরভোট হবে ধরে নিয়েই আগাম প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছেন গঙ্গারামপুরের এই ডাকসাইটে নেতা।
গত বছর লোকসভা ভোটের পরই দাদা বিপ্লব মিত্রের সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তৎকালীন পুরপ্রধান প্রশান্ত। তারপরেই তৃণমূলের তরফে প্রশান্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে পুরপ্রধান পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে প্রশান্ত একপ্রকার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। এমন কি, বিজেপির কর্মসূচিতেও তাঁকে দেখা যায়নি। এই অবস্থায় চলতি বছরে পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়৷ তারপরে অমল সরকার-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে মাথায় বসিয়ে প্রশাসক বোর্ড ঘোষণা করে রাজ্য সরকার।
এর পরে দাদা বিপ্লবের হাত ধরে প্রশান্তও তৃণমূলে ফিরে আসেন। গত মাসেই আগের প্রশাসক বোর্ড বাতিল করে প্রশান্তকে চেয়ারপার্সন করে নতুন বোর্ড গঠন করে রাজ্য সরকার। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ৭ জানুয়ারি গঙ্গারামপুরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা রয়েছে। সভা সফলের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিদিন ওয়ার্ড ধরে ধরে পথসভা, মিছিল ও এলাকা ঘুরছেন প্রশান্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতা বলেন, ‘‘আগের প্রশাসক বোর্ড পুরসভার কোনও প্রকল্পই শেষ করতে পারেনি। তাই পথবাতি থেকে রাস্তাঘাট মেরামত, আবাস প্রকল্পের কাজ ঠিক ভাবে হয়নি। কিন্তু যেহেতু দলের লোকেরাই বোর্ডে ছিল তাই কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলছে না। প্রশান্ত সেই সব কাজ ভোটের আগেই শেষ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।’’
প্রশান্ত নিজে জানিয়েছেন, বিধানসভার সঙ্গে পুরসভা ভোট হলে যাতে শহরের উন্নয়ন নিয়ে বাসিন্দারা অভিযোগ করতে না পারেন তা সুনিশ্চিত করতে সব কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি ছাড়াও ভোটকে সামনে রেখে প্রচার করা হচ্ছে। অনেক কাজ মাঝে আটকে গিয়েছিল তা শেষ করা হচ্ছে। শহরকে গ্রিনসিটি বানানোই আমাদের লক্ষ্য।’’