ইস্তফা: এসজেডিএ চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগপত্র দিচ্ছেন নান্টু পাল। ছবি: বিনোদ দাস।
সরকারি পদ এসজেডিএ-র ভাইস চেয়ারম্যান এবং নর্থ বেঙ্গল স্পোর্টস বোর্ডের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নান্টু পাল। সোমবার দুপুরে নান্টু জানান, কলকাতা থেকে দলের সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চারদিন অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু তালিকায় নাম রেখে যে ভাবে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে তা তিনি মানতে পারেননি। সেই সঙ্গে মুখ খুলতে শুরু করলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এ দিন এসজেডিএ দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘‘শিলিগুড়িতে আন্তর্জাতিক মানের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পরিকল্পনা ফেলে রেখে জমি উপনগরী বানাতে প্রোমোটার সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। স্পোর্টস বোর্ডের টাকা কলকাতায় নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। ক্রীড়ামন্ত্রী (অরূপ বিশ্বাস) পদে বসিয়ে সাহায্য করেননি। এতদিন বলিনি। সময় মতো সব বলব। আরও অনেক কিছু বলার রয়েছে।’’
সোমবারই মন্ত্রী গৌতম দেব নান্টু পালের ‘শুভবুদ্ধি ফিরে আসুক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন, নিজের সীমাটা জানা জরুরি। নইলে রাজনীতিতে সমস্যা হতে পারে। আর জেলার কয়েকজন নেতার বক্তব্য, নান্টু দীর্ঘদিন বরো চেয়ারম্যান ছিলেন। ডেপুটি মেয়র, কাউন্সিলর ছিলেন। এসজেডিএ-তে এ দিন অবধি ছিলেন। বিধান মার্কেট নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। সব কিছুই মাথায় মিয়ে চলতে হবে। উনি এতদিন এসব কথা কেন বলেননি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন ওই নেতারা ।
দলীয় সূত্রের খবর, বেসুরো গাইতে শুরু করার পর নান্টু ভেবেছিলেন দলের তরফে তাঁর মান ভাঙাতে পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী সব জেনেও তাঁর কথা বলা বা ডেকে পাঠানোর ব্যাপারেও উদ্যোগী হননি। রাজ্যের দুই মন্ত্রী একবারই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য বলেছিলেন। আর দলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার তাঁকে সিদ্ধান্ত আর একবার ভেবে দেখে পদত্যাগপত্র মেসেজ করে পাঠিয়ে দিতে বলেছেন। পাশাপাশি, নান্টুর সঙ্গে দলের দূরত্ব রাখাও শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় নির্দল প্রার্থীর কথা বললেও বিজেপি নিয়েও নান্টু কোনও আপত্তি এখনও দেখাননি।
যদিও বিজেপির অন্দরে তাঁকে দলে নিয়ে প্রার্থী করা নিয়ে প্রশ্ন হয়েছে। বিজেপি জেলার এক শীর্ষ নেতার কথায়, ‘‘নান্টুবাবুকে দলে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু প্রার্থী করাটা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে। আবার তাঁকে প্রার্থী করে দল সরাসরি কতটা সুবিধা পাবে সেটাও দেখার।’’ নান্টু অবশ্য বলেছেন, ‘‘এখনও নির্দল প্রার্থীই আছি। তবে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে আমার পরিচয় রয়েছে। আমাকে দিল্লি, কলকাতার নেতারা চেনেন। দেখা যাক, আগামী দিনে কী হয়!’’