জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু।
ফের সেরিব্রাল অ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে পড়লেন জলপাইগুড়ি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান মোহন বসু। শনিবার দুপুরে তাঁকে জলপাইগুড়ির বাবুপাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে। এ দিন বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আজ রবিবার, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে মোহন বসুকে। পুরভোটের আগে তাঁর অসুস্থতার খবরে উদ্বেগ বেড়েছে শাসক দলের শিবিরে।
পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন পুরসভায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন মোহন। অন্যদিনের মতোই এ দিনও সকাল থেকে একাধিকবার ফোন আসায় কথা বলছিলেন তিনি। একবার ফোন রাখার পরেই মোহনের কথা জড়িয়ে আসতে শুরু করে বলে জানিয়েছে পরিবার। ডান হাত তুলতে পারছিলেন না তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নার্সিংহোমে যাওয়ার কথা বললেও প্রথমে রাজি হননি মোহন। বাড়িতেই ডাকা হয় চিকিৎসককে। তিনি এসে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। এ দিন নার্সিংহোম সূত্রের খবর, মস্তিষ্কে অনেকটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। বছরতিনেক আগে প্রথমবার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয় মোহন বসুর। সেবার দিল্লির একটি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছিল তাঁর। রবিবার তাঁকে সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে।
এ দিন মোহন বসুকে দেখতে নার্সিংহোমে গিয়েছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী ও দলের একাধিক কাউন্সিলর। বিরোধী দলের অনেকেও গিয়েছিলেন নার্সিংহোমে। চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সন্দীপ মাহাতো বলেন, “নিয়মিত চেকআপের জন্য রবিবারই মোহনবাবুর দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। জলপাইগুড়ির নার্সিংহোমে এ দিন প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। আপাতত চেয়ারম্যানের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তিনি কথাও বলছেন।” আজ সকাল এগারোটায় বাগডোগরা থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে মোহন বসুকে নিয়ে দিল্লিতে উড়ে যাওয়ার কথা।
২০০৩ থেকে মোহন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান। সে সময় তিনি কংগ্রেসে ছিলেন। ২০০৫ ও ২০১০ সালে কংগ্রেস পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১৫তে তৃণমূলের পুরবোর্ডেও চেয়ারম্যান হন তিনি। কদিন পরেই জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচন। সংরক্ষণের খসড়া তালিকাও প্রকাশ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দলনেতার অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর উদ্বিগ্ন জলপাইগুড়ি শহর এলাকার তৃণমূলের নেতারা।