প্রতীকী ছবি।
উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে মৃত্যু হল রাজগঞ্জে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা মহম্মদ সলেমানের। সোমবার সন্ধ্যায় রাজগঞ্জে ভুটকির গণ্ডার মোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানে সামনে দু’জন দুষ্কৃতী তাঁকে সামনে থেকে গুলি করে। গুলি লেগেছিল তাঁর মাথাতেও। এর পর সঙ্কটজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানেই মঙ্গলবার মৃত্যু হয় তাঁর।
সলেমান তৃণমূলের তপসিলি জাতি-উপজাতি এবং ওবিসি সংগঠনের বলরাম অঞ্চলের বুথ সভাপতি। দুষ্কৃতীদের গুলিতে সলেমানের পাশাপাশি লটারি বিক্রেতাও জখম হয়েছিলেন। তাঁকে অবশ্য চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই লটারি বিক্রেতা পাপন প্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘আমার থেকে টিকিট কেটে পাশে বসেছিলেন তিনি। বাকি টিকিট ফেরত দিতে জমা করতে হবে বলে তাড়াহুড়ো করছিলাম। এর মধ্যেই আমি ছিটকে পড়ি। উঠে দাঁড়িয়ে দেখি টিকিটগুলো পড়ে গিয়েছে, সলেমানদা পড়ে রয়েছে। আমারও রক্ত পড়ছে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকি। আর কিছু খেয়াল নেই।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, দুষ্কৃতীরা মাস্ক পরেছিল।
তৃণমূল নেতা মহম্মদ সলেমান। নিজস্ব চিত্র।
কারা কেন গুলি করল তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এলাকার ব্যবসায়ীরাও ঘটনায় উদ্বিগ্ন। ঘটনার পিছনে জমির কারবার নিয়ে গোলমাল রয়েছে বলে অনেকের অনুমান। সলেমান নিজেও জমি কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। প্রায়শই মোটা টাকার লটারির টিকিট কেনেন। জমির কারবার থেকেই টাকা আসে বলে অনেকের অনুমান।
জাতীয় সড়কে দেহ রেখে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সলেমানের দেহ জাতীয় সড়কে রেখে পথ অবরোধ করেন তৃণমুল কর্মীরা। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার দাবি তোলেন তাঁরা। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ায় রাজগঞ্জের গন্ডার মোড় এলাকায়।