টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় নাম না আসায় হতাশায় তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা আত্মঘাতী হলেন বলে দাবি করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডি থানার নুরুল্লাকুড়ি এলাকার ঘটনা। এ দিন বিকেল ৩টা নাগাদ বাড়ির পিছনে পুকুরপাড়ের ধারে গাছ থেকে তার ঝুলন্ত দেহ পুলিশ উদ্ধার করে। মৃতের নাম আব্দুর রহিম (২৪)।
এ জেলার কুশমণ্ডির বাসিন্দা হলেও নিকটবর্তী উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদের তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেনআব্দুর। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য দালালকে তিনি টাকা দিয়ে চাকরির জন্য নিশ্চিত ছিলেন বলে প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রনেতার বাবা পেশায় ছোট চাষি সরিফুদ্দিন মিঁয়া জানান, নিয়োগে ডাক না পেয়ে হতাশা থেকে ছেলে এমন কাণ্ড করবে ভাবতে পারছি না। তবে এখনই তাঁরা এ বিষয়ে থানায় কোনও অভিযোগ করবেন না বলে জানা গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছাত্রনেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বাড়ির লোকের তরফে এখন নির্দিষ্ট ভাবে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ওই বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সরিফুদ্দিন মিঁয়ার দুই ছেলের মধ্যে আব্দুর রহিম ছিলেন ছোট ছেলে। বড় ছেলে সিভিক ভলেন্টিয়ারের কাজ করেন। এ দিন ঘটনার পর মৃত ছাত্র নেতার বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যান কুশমণ্ডির বাসিন্দা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাস।
তিনি বলেন, ‘‘টাকা দিয়ে প্রাথমিকের চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট নয়। অন্য কারণও থাকতে পারে। আমরা খোঁজ নিচ্ছি।’’
দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রথম দফায় প্রায় আড়াইশো প্রশিক্ষিত টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষকের পদে নিয়োগ করা হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় দফায় অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ ছাড়া হয়েছে। এই তালিকাতে মৃত ছাত্রনেতা আব্দুরের নাম থাকার কথা ছিল বলে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন।
এ দিন মৃত ছাত্রনেতার প্রতিবেশী আব্দুল লতিফের মতো আর এক প্রতিবেশী সালেক মুস্তাক কুশমণ্ডি হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘টেটে চাকরির জন্য আব্দুর টাকা দিয়েছিল বলে শুনেছিলাম। তালিকায় নাম না দেখে সে ভেঙে পড়েছিল।’’