গ্রেফতার: অসিতবরণ কুণ্ডু। নিজস্ব চিত্র
বনদফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক তৃণমূল নেতা। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার রামপুর এলাকা থেকে অসিতবরণ কুণ্ডু নামে ওই নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। অসিতবরণ তপন থানার ফুলবাড়ির পালসার বাসিন্দা। এ দিন তাঁকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিচারক সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই ঘটনায় আর কারা যুক্ত, দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
তপন থানার রামপুরের বাসিন্দা পিয়ার আলি মণ্ডলকে বনদফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৪ লক্ষ টাকা কাটমানি আদায়ের অভিযোগ ওঠে দুই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। চাকরি ও টাকা কিছুই না পেয়ে রবিবার পিয়ার আলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী অহিদুল মহালত ও ইউসুফ আলিকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নিয়েছিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের পান্ডা অসিতবরণ কুণ্ডুর নাম উঠে আসে বলে অভিযোগ। এর পরেই শনিবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামপুর বাজার থেকে অসিতবরণকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অহিদুল ও ইউসুফের সঙ্গে তৃণমূল নেতা অসিতবরণও এলাকা থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা কাটমানি তোলেন। এই ঘটনায় বড় চক্র জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। এক পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরেই নয়, কলকাতাতেও এই চক্রের সদস্যরা রয়েছে।’’ তপন থানার ওসি সৎকার সাংমো জানান, কাটমানি নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অসিতবরণের নাম জানা যায়। এই ঘটনায় আর কারা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানান, কাটমানি আদায়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যে রাজনৈতিক দলেরই হোন না কেন, পুলিশ প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নেবে। ঘটনাটিতে তৃণমূলের যোগ নেই। তবে অর্পিতা দাবি করেন, অভিযোগ সঠিক ভাবে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে নিরাপরাধ কেউ শাস্তি না পান।