মালদহে বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহে তৃণমূল নেতা গ্রেফতার। বেআইনি অস্ত্র সঙ্গে রাখার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য এটি তৃণমূলের পূর্ব পরিকল্পনা। তৃণমূলের তরফে পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ধৃত নেতার সঙ্গে ইতিমধ্যে দূরত্ব তৈরি করেছে দল।
মালদহের মোথাবাড়ি থানা এলাকা থেকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা আব্দুস সালামকে। তিনি দলের সংখ্যালঘু সেলের অঞ্চল সভাপতি। মোথাবাড়ি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশ জানতে পেরেছিল, নিজের কাছে বেআইনি অস্ত্র রেখেছেন আব্দুস। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ছ’রাউন্ড কার্তুজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আব্দুসের কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। কী কারণে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র বাড়িতে মজুত করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃতকে বুধবারই মালদহ জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কোনও জবাব দেননি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।
এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘‘তৃণমূল দলটা অপরাধী আর তোলাবাজে ভরে গিয়েছে। কিছু দিন আগে ওদের জেলা সভাপতি বলেছিলেন, আন্দোলন শুরু করবেন। আন্দোলন মানে বিরোধীদের নিকেশ করা। সম্প্রতি তৃণমূলের ওয়ার্ডে বোমা ফেটে একটি বাচ্চা আহত হয়েছে। এখন অস্ত্র-সহ তৃণমূল নেতা ধরা পড়েছেন। পুলিশ কবে এঁদের ছেড়ে দেবে, মানুষ জানতেও পারবে না। তবে গ্রেফতার করে ভাল কাজ করেছে পুলিশ। আমাদের অনুরোধ, এ সব দিকে আরও বেশি করে নজর দিক পুলিশ। না হলে পরবর্তী সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাশকতামূলক কাজও হতে পারে।’’
বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, প্রশাসনকেও নির্দেশ দিয়েছেন, অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। কোনও রাজনৈতিক রং দেখা হবে না। এখানেও তেমন পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই ঘটনায় দলের কোনও ভূমিকা নেই। পুলিশ যা ভাল বুঝবে, তা-ই করবে। ধৃত নেতার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা প্রেসিডেন্ট ঠিক করবেন।’’