Malda

সালিশি সভায় দেরিতে আসায় পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, মালদহের গ্রামে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

ঘটনার সূত্রপাত আম গাছের শুকনো ডাল ভাঙাকে কেন্দ্র করে। এলাকারই মহিলা খালেক মহালদার নামে এক ব্যক্তির বাগানে আম গাছের শুকনো ডাল ভাঙতে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২০ ১৬:৪০
Share:

অভিযুক্ত উপপ্রধান মন্টু শেখ। নিজস্ব চিত্র।

সালিশি সভায় আসতে করায় এক ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল মালদহের তৃণমূল পরিচালতি কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মন্টু শেখের বিরুদ্ধে। তবে মন্টু সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত আম গাছের শুকনো ডাল ভাঙাকে কেন্দ্র করে। এলাকারই মহিলা খালেক মহালদার নামে এক ব্যক্তির বাগানে আম গাছের শুকনো ডাল ভাঙতে গিয়েছিলেন। তাঁকে ডাল ভাঙতে নিষেধ করেন বাগান মালিক। এ নিয়ে দু’জনের মধ্য বচসা হয়। এর পরই মহিলা গ্রামের মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ জানান, খালেক তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে এর পরই সালিশি সভার ডাক দেন মন্টু শেখ। কিন্তু সালিশি সভায় সময় মতো পৌঁছতে পারেননি খালেক। কেন আসতে দেরি হল তা জানতে চেয়ে ওই সভাতেই খালেককে শাসানো হয় বলে অভিযোগ। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এর পরই মন্টু শেখের নির্দেশে খালেকের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে ভোররাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টাও করা হয় বলে দাবি খালেকের। শুধু তাই নয়, তাঁকে গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার হুমকিও দেন মন্টু ও তাঁর দলবল। স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মন্টু।

Advertisement

এই ঘটনার পর ইংরেজাবাজার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নেয়নি বলেও দাবি খালেকের। অন্য দিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মন্টু। এ প্রসঙ্গে নীহাররঞ্জনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দলীয়ভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement