এনআরসি সামনে রেখে কোমর বাঁধছে তৃণমূল

সীমান্তে আতঙ্ক কাটাতে প্রচারদেশভাগের পরেও উত্তর দিনাজপুরের মতোই ওপার বাংলা থেকে ছিন্নমূল মানুষের ঢল আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে। বাঙালিদের বড় অংশের মানুষের স্রোত এসে মিশে যায় সীমান্ত শহর বালুরঘাটে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

এনআরসি ইস্যুকে ঢাল করে সীমান্ত লাগোয়া দক্ষিণ দিনাজপুরে ঘুরে দাঁড়াতে তৎপরতা বাড়াল জেলা তৃণমূল। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের বিজয়রথ থামিয়ে তৃণমূলের জয়লাভে এনআরসি নিয়ে প্রচারই কার্যকরী হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমূল। উপনির্বাচনে হারের পরে প্রাথমিক বিশ্লেষণে বিজেপির অন্দরেও এনআরসি চর্চা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

দেশভাগের পরেও উত্তর দিনাজপুরের মতোই ওপার বাংলা থেকে ছিন্নমূল মানুষের ঢল আছড়ে পড়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরে। বাঙালিদের বড় অংশের মানুষের স্রোত এসে মিশে যায় সীমান্ত শহর বালুরঘাটে। ঘরবাড়ি জমি-জিরেত নিয়ে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করে সংসার সীমান্তে তাই এ জেলার বড় অংশের মানুষের শিকড় এখন অনেক গভীরে পৌঁছেছে। এনআরসি আতঙ্ক ব্যাপক অংশের এই বাসিন্দাদের গভীরে আঘাত করার ফলই ভোট বাক্সে উঠে এসেছে বলে তৃণমূল শিবিরে চর্চা চলছে। কালিয়াগঞ্জের রণকৌশল ধরে রেখে এ জেলাতেও উন্নয়নের লক্ষ্যে মানুষের দুয়ারে পৌঁছনোর পাশাপাশি এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচারে ঝাঁঝ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্পিতা শিবির।

গত লোকসভা ভোটে বিজেপি ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়েও শেষ পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বালুরঘাট কেন্দ্রটি তৃণমূলের হাতছাড়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরে বিপ্লব মিত্রকে সরিয়ে অর্পিতাকেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি করা হয়। বিপ্লবও দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পরে বিপ্লবের প্রভাব থেকে একে একে গঙ্গারামপুর পুরসভা এবং জেলাপরিষদের কর্তৃত্ব ছিনিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পথে অর্পিতার সামনে এখন পুরভোটের চ্যালেঞ্জ। গত লোকসভা ভোটে বালুরঘাট পুরএলাকার সবগুলি বুথে এগিয়ে বিজেপির ভোটের লিড ছিল প্রায় ১৪ হাজার। কালিয়াগঞ্জের জয় তাই বাড়তি অক্সিজেন জোগাল তৃণমূলকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বালুরঘাটে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জন্য কালিয়াগঞ্জের জয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ যে সমস্ত অঞ্চলে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি যত ভোট পেয়েছিল। এ বারে তার সিকিভাগ ভোটও পায়নি বলে তিনি দাবি করেন। উন্নয়ন প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও এনআরসি নিয়ে সকলকে আতঙ্কিত না হতে বলে প্রচার চলবে। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, ‘‘এনআরসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসও প্রচার করেছিল। পাশাপাশি পিকের টিম মাটি কামড়ে পড়েছিল।’’ ফলে ভোটে এনআরসির প্রভাব পড়ে বলে শুভেন্দুও স্বীকার করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement