TMC

TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অশান্ত দিনহাটা, গুলি, তিরের আঘাতে আহত একাধিক

তিরের আঘাতে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ২৩:৩২
Share:

আহত তৃণমূল কর্মী।

তৃণমূলের গোষ্ঠীলড়াইয়ে অশান্ত হল কোচবিহারের দিনহাটা। বৃহস্পতিবার দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকের গীতালদহ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ হলেন আব্দুল জলিল মিয়াঁ নামে এক তৃণমূল কর্মী। ওই ঘটনায় তিরের আঘাতে আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়।

Advertisement

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। গীতালদহ-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আবু আল আজাদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে প্রধান পদ থেকে সরানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মফিজার রহমান-সহ দলের একটি অংশ। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি মফিজারের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বেশকিছু তৃণমূলের দুষ্কৃতী জমায়েত হয়। তারা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস তৈরি করে।

ওই দুষ্কৃতীদের গুলিতেই দলের কর্মী জলিল আহত হন বলে আজাদের অভিযোগ। পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন তিরের আঘাতে আহত হন। এ প্রসঙ্গে মফিজার বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি ওই এলাকায় উপস্থিত ছিলাম না। ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই পুলিশ-প্রশাসনকে ফোন করেছিলাম।” এই ঘটনা প্রসঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে কড়া হুঁশিয়ারি দেন, কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ। তিনি বলেন, “যদি কেউ ভাবে দলে থাকব, কিন্তু দলের নির্দেশ মানব না, নিজের খেয়াল-খুশি মতো চলব, তা হলে তাঁকে নিয়ে ভাবতে হবে। যে রোগের যে ওষুধ প্রয়োজন, সেখানে সেই ওষুধ ব্যবহার করা হবে।’’ ঘটনা প্রসঙ্গে কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ২৭ জনকে গ্রেফতার করেছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement