বনগাঁর সভায় শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি এবং সিএএ চালুর পক্ষে সওয়াল করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বনগাঁয় বিজেপি-র সভায় তিনি বলেন, ‘‘এটা দলের কথা নয়, আমার ব্যক্তিগত কথা, এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি) -টা দরকার। যোগী আদিত্যনাথজি আর হেমন্ত বিশ্বশর্মা যা যা করছেন, বাংলাতে সেটা দরকার। নইলে এই বাংলাটা বাংলাদেশ-টু (দ্বিতীয় বাংলাদেশ) হবে।’’
পাশাপাশি, ‘ওইদিক’ (বাংলাদেশ) থেকে সব ছেড়ে চলা আসা এবং ধর্মান্তকরণের প্রসঙ্গও এসেছে তাঁর বক্তৃতায়। বনগাঁ মতিগঞ্জে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সম্বর্ধনা সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, ‘‘হরিচাঁদ ঠাকুর-গুরুচাঁদ ঠাকুর না থাকলে আপনাদেরকে সব ধর্মান্তরিত করে নিয়েছিল, ইতিহাস বলে। সেইখান থেকেই তো মতুয়ার সৃষ্টি।’’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ডিসেম্বরের মধ্যে টিকাকরণের কাজ শেষ হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) কার্যকরের পথে হাঁটবে কেন্দ্রীয় সরকার।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, শুভেন্দু রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি কর্মীদের উপর যা আক্রমণ হয়েছে তা স্বাধীনতার পরে এই প্রথম । এখনও পর্যন্ত ৫১ জন শহিদ হয়েছে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস প্রসঙ্গে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজকের দিন টি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে স্মরণীয় দিন।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ পায়ে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে ঘুরে বেরিয়েছেন । ভালো কাজ করলে প্রশংসা করব কিন্তু এখনও পর্যন্ত দিদিমণি একটাও ভালো কাজ করেননি।’’ পশ্চিমবঙ্গে ‘আজ, কাল বা পরশু’ বিজেপি-র সরকার হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘মানবতার জয় গণতন্ত্রের জয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল। আমাদের সংবিধানের মূল স্তম্ভ বিচারব্যবস্থা এগিয়ে এসেছে মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য।’’