নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গের দুই জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বন্দ্ব নিয়ে অস্বস্তি শাসকদলের অন্দরে। মালদহের বামনগোলা ব্লকের মদনাবাতি গ্রাম পঞ্চায়েতে শাষক দলের দখলে পঞ্চায়েতের সদস্যরাই অনাস্থা আনলেন প্রধানের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে শাসকদলের দখলে থাকা কোচবিহারের হাড়িভাঙা পঞ্চায়েতে সদস্যদের চাপে নতুন প্রধানের নাম ঘোষণা করলেন জেলা সম্পাদক।
সোমবার শাসক দলের প্রধানের বিরুদ্ধে অনস্থা ডেকে আস্থা ভোটে অপসারণ করলেন শাসকদলের সদস্যরাই। সোমবার মালদহের বামনগোলা ব্লকের মদনাবতি গ্রাম পঞ্চায়েত শাসক দলের প্রধান রঞ্জিতা হালদারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দিলেন বাকি সদস্যরা। পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় ওই পঞ্চায়েতে আস্থা ভোট হল। যদিও ভোটে সামিল হননি প্রধান রঞ্জিতা হালদার। পঞ্চায়েত ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বামনগোলার মদনাবতি গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৯। ১৯টি আসনই তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জয়ের পর প্রধান হন রঞ্জিতা হালদার। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের বাকি সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব ডাকেন। বামনগোলা ব্লকের বিডিও রাজু কুন্ডুর উপস্থিতিতে ভোটাভুটি হয় সোমবার। ১৯টি আসনের মধ্যে ১৬টি ভোট প্রধানের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় রঞ্জিতা হালদারকে অপসারণ করা হয়। তবে নতুন প্রধানের দায়িত্ব কে পাবেন, তা নিয়ে এদিন কিছু জানা যায়নি।
অন্য দিকে কোচবিহারের ১ নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে সরিয়ে দেওয়া জাহাঙ্গীর আলমের বদলে নতুন পঞ্চায়েত প্রধানের নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূলে জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ। নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হচ্ছেন শঙ্কর দেবনাথ। গত ১৩ অক্টোবর অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। তার পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা যাবে না। কোথাও প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে জেলা নেতৃত্বকে জানাতে হবে। দল ঠিক করবে কে প্রধান হবে।’’ নবনিযুক্ত প্রধান শংকর দেবনাথ বলেন, ‘‘এর আগে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে আমরা ভুল করেছিলাম। কিন্তু বর্তমানে আমরা দলের নির্দেশ মেনে চলব। দল যা নির্দেশ দিবে সেই হিসেবে কাজ করা হবে।’’