সভার সেই কার্ড। নিজস্ব চিত্র
আগামী ২ মার্চ জেলার নেতাদের নিয়ে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর সেই সভা উপলক্ষে জেলা নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে আমন্ত্রিতদের ‘বার কোড’-যুক্ত কার্ড বিলি করল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ডালখোলা টাউন হলের সভায় জেলার নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং ডালখোলার পুরপ্রধান-সহ সমস্ত কাউন্সিলর। ছিলেন ওয়ার্ড, টাউন ও ব্লক সভাপতিরা।
মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য এ দিন নাম অনুসারে কার্ড বিলি করা হয়। এক জনের কার্ডে অন্য কেউ যেতে পারবেন না। কার্ডে ‘বার কোড’ দিয়ে নিরপত্তার বিষয়টি যেমন সুনিশ্চিত করা হয়েছে, তেমনই কোনও নির্দিষ্ট প্রতিনিধির উপস্থিতিও নিশ্চিত করা হয়েছে।
মার্চের প্রথম সপ্তাহে কালিয়াগঞ্জে প্রশাসনিক সভায় যোগ দিতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার আগে জেলার নেতাদের নিয়ে এই বৈঠকে লক্ষ্য ছিল পুরভোট এবং ২০২১-এর বিধানসভা ভোট। পুরভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক দলগুলির। এ দিনের বৈঠকে নেতৃত্বরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হাতে সময় নেই। এখন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
এ দিনের বৈঠকে জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুরের পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল, জেলা যুব সভাপতি গৌতম পাল-সহ, অন্য সংগঠনের নেতৃত্বরাও ছিলেন। ছিলেন করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহ, কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক তপনদেব শর্মা, কালিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান কার্তিক পাল, রায়গঞ্জ পুরপ্রধান সন্দীপ পাল, ডালখোলা পুরসভার যুগ্ম প্রশাসক সুভাষ গোস্বামী-সহ অন্য নেতৃত্বরা।
তবে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী, চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য। আর এই নিয়ে ফের দলের মধ্যে কোন্দলের প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও কানাইয়ালাল দাবি করেন, ‘‘দলের মধ্যে বিরোধ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতার সভায় যোগ দেওয়ার জন্য এ দিন কার্ড বিলি করা হল।’’
এ দিকে কার্ড বিলি নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তিও ছড়ায়। অনেকে এ দিন হাজির ছিলেন না। জেলা সভাপতির দাবি, ‘‘যাঁরা আসেননি তাঁদের কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে প্রত্যকের নাম ইস্যু করে কার্ড পাঠানো হয়েছে। এতে কোনও সমস্যার হওয়ার কথা নয়।’’