প্রতীকী ছবি।
গৌড়বঙ্গে প্রচারে এসে কখনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ডিসেম্বরের পর থেকে মার শুরুর কথা। আবার সায়ন্তন বসু ল্যাম্পপোস্টে বেধে রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট করার মারার তালিকা তৈরির কথাও বলেছেন। বিজেপি নেতাদের এমন সব মন্তব্যকে 'কু-কথা' বলেই মনে করছে বিরোধী দলগুলি। সেই কু-কথা নিয়ে সরবও হয়েছেন তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা।
রবিবার রায়গঞ্জের সভায় দিলীপ বলেন, ‘‘তৃণমূল যদি মনে করে পুলিশকে ঢোড়া সাপ বানিয়ে রেখে দুষ্কৃতী, গুন্ডা, সমাজবিরোধীদের নিয়ে রায়গঞ্জ-সহ রাজ্যের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী হবে, তাহলে ভুল ভাবছে। আমি রায়গঞ্জে বলে যাচ্ছি, বিজেপির দিকে কেউ চোখ তুলে তাকালে ডিসেম্বরের পর থেকে মার শুরু হবে।’’ সেদিনই করণদিঘির ঝাড়বাড়িতে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা রাজ্যের বাইরে গেলে পা খুলে নেবে। এখানে হাত খুলে নেব। সাবধান হয়ে যান।’’ আবার পরদিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে দলীয় সভায় সায়ন্তন বলেন, ‘‘এখন যেভাবে বিজেপি কর্মীদের মেরে অ্যাক্সিডেন্ট দেখানো হচ্ছে, মনে রাখবেন বিজেপি এলে, আপনারা জেল থেকে বেরোলে, গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হবে। কাদের অ্যাক্সিডেন্ট হবে সেই তালিকা আমরা তৈরি করছি। কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
বিজেপি নেতাদের এমন মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘বিজেপি নেতাদের ওই ধরণের কথার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করতে রুচিতে বাধে। আসলে বিজেপি মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সে কারণেই এই ধরণের কু-কথা বলে মানুষকে ভুল পথে চালিত করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা মানুষকে সচেতন করব।’’ সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘বিজেপির পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। সে জন্য নেতারা সভায় কর্মীদের উস্কানি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। এ সব বন্ধ করা উচিত।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রও বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে গিয়েছে। তাই সভায় নানা কু-কথা বলছে। মানুষই এর জবাব দেবে।’’ যদিও বিজেপির মালদহ জেলা কার্যকরী সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধীদের, বিশেষ করে তৃণমূলের কাছ থেকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার শেখার নেই। সিপিএম ৩৪ বছরে মানুষের উপর কম অত্যাচার করেনি। সে সবেরই জবাব দেওয়া হচ্ছে।’’