Siliguri Municipality

বরাদ্দ নিয়ে ক্ষোভ তৃণমূলে

রাজ্যের পুর দফতর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সম্প্রতি ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২১
Share:

ছবি: সংগৃহীত

রাজ্যের পুর দফতর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য সম্প্রতি ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভাকে। কিন্তু তা থেকে তৃণমূলের কোনও ওয়ার্ডে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ের শেষ ভাগে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যায় তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, ওই বরাদ্দ পেতে তৃণমূল কাউন্সিলর তথা বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে সাহায্যও করেছেন।

Advertisement

অন্য দিকে এ দিন বোর্ড মিটিংয়ে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত থাকলেও সভা চলাকালীন চলে যান সদ্য ইস্তফা দেওয়া মেয়র পারিষদ পরিমল মিত্র। তা নিয়েও তৃণমূল সরব হয়েছে।

এ দিন এনআরসি, সিএএ, এনপিআর-এর বিরোধিতায় তৃণমূলের আনা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। পরে বরাদ্দ নিয়ে অভিযোগ তুলে সরব হয় তৃণমূল। মেয়র বলেন, ‘‘যেহেতু এই পুরসভা বামেদের দখলে তাই প্রতিপদে রাজ্য সরকার বঞ্চনা করেছে। কত চিঠি লিখেছি। পুরমন্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে দেখা করেছি। বরাদ্দ দেবেন আশ্বাস দিলেও মেলেনি। অথচ আমরা পুরসভার কাজের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ওয়ার্ডগুলোতে গোড়া থেকেই বরাদ্দ দিয়েছি। তার হিসেব দেখলেই বোঝা যাবে।’’ তাঁর অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পূর্ত দফতরকে দিয়ে তৃণমূলের ওয়ার্ডগুলোতে কোটি কোটি টাকার কাজ করানো হয়েছে। অথচ বামেদের ওয়ার্ডগুলোকে বঞ্চনা করা হয়েছে। পুরসভার সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হয়েছে বলে অভিয়োগ করেন মেয়র। সম্প্রতি গাঁধী মূর্তি পুরসভা বসাতে চাইলে বলা হচ্ছে পূর্ত দফতরের অনুমতি নিতে হবে। অথচ পুরসভার রাস্তায় বিনা অনুমতিতে পূর্ত দফতর কাজ করেছে বলে তাঁর অভিযোগ।

Advertisement

বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয় রাস্তা, নিকাশির মতো উন্নয়ন কাজের জন্য এই বরাদ্দের অন্তত ৪০ শতাংশ টাকা তৃণমূলের ওয়ার্ডগুলোতে দেওয়া হবে। তা করা হল না। উন্নয়ন নিয়ে এই পুরবোর্ড বৈষম্য করছে। তাই আমরা প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াক আউট করেছি।’’

অন্য দিকে সম্প্রতি বস্তি উন্নয়ন বিভাগের মেয়র পারিষদ পরিমল মিত্রকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ দিন তিনি বোর্ড মিটিংয়ে এসে বাম কাউন্সিলরদের সঙ্গে সাধারণ আসনে বসেছিলেন। বিরোধী দলনেতা চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চান, পরিমলবাবু মেয়র পারিষদ আছেন কি না জানানো হোক। তাঁকে সরতে বাধ্য করা হয়েছে কি না? কেন তিনি সরে গেলেন তা তাঁকে বলতে দেওয়া হোক। চেয়ারম্যান অবশ্য জানান, তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। এ দিন পরিমল মিত্র বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমার ওয়ার্ডে পুরসভার তরফে নানা অনুষ্ঠান হলেও আমন্ত্রণ পাইনি। অথচ বাম কাউন্সিলর হিসাবেই রয়েছি। অন্য দলেও যাইনি। সময় মতোই যা জানানোর বলব।’’ তিনি মেয়র পারিষদ নেই তাই সাধারণ আসনে বসেছেন বলে জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement