তদন্তে পুলিশ সুপার। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ রায়গঞ্জ শহরের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তনগরে, রায়গঞ্জ পুরসভার ভাগাড় সংলগ্ন এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম তপন দাস। তিনি ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর পেটে গুলি লেগেছে। অভিযোগ, এ দিন দুই দুষ্কৃতী তপনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি তাঁর পেটে লাগে। বাসিন্দারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন। অস্ত্রোপচার করে তাঁর পেট থেকে গুলি বার করা হয়। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তপনকে গুলি করে তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।
এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিকিতা ফোনিং, রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডিএসপি প্রসাদ প্রধানের বক্তব্য, ‘‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’
কান্তনগরে পুরসভার ওই ভাগাড়ের আবর্জনা ও তা পোড়ানোর ধোঁয়া থেকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশ। ভাগাড় থেকে যাতে দূষণ না ছড়ায় তা দেখতে এ দিন তপন এক তৃণমূলকর্মীর মোটরবাইকে সেখানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় দুই দুষ্কৃতী মাথায় রুমাল ও মুখে মাস্ক বেঁধে সেখানে আসে। তপনকে ডাকে তারা। এর পরে তাঁকে গুলি করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, স্থানীয় কোনও ঘটনা, পুরনো শত্রুতা বা রাজনৈতিক কোনও কারণে তপনকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হতে পারে। ওই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তৃণমূল পরিচালিত রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস ও উপ-পুরপ্রধান অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, ওই হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।