Cooch Behar TMC

লাগাম হাতে চান রবি, মিহিররা

তৃণমূল জেলা রাজনীতিতে বরাবর রবীন্দ্রনাথের বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক মিহির গোস্বামী, অর্ঘ্যরায় প্রধান। তালিকায় মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ ও বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিমও রয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২৬
Share:

ফাইল চিত্র

নিজের বিধানসভা এলাকায় পুরোপুরি সাংগঠনিক ক্ষমতা হাতে চান জেলার তৃণমূল বিধায়কেরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করবেন তাঁরা। দিন দু’য়েকের মধ্যেই বিধায়করা কলকাতায় গিয়ে ওই দাবি জানাবেন। সুযোগ পেলে দলনেত্রীকেও তা জানাবেন তাঁরা। অবশ্য মুখে তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

তৃণমূলের কোচবিহার জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘দলে দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হয়।’’ পার্থপ্রতিমও বলেন, ‘‘দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক অবশ্য জানান, নির্বাচনের দেরি নেই। দলে কোন্দল বাড়ছে। অনেক বিষয় বিধায়ককে না জানিয়ে করা হচ্ছে। এ ভাবে চললে বিপদ রয়েছে। তা-ই জানানো হবে রাজ্য নেতৃত্বকে।

তৃণমূল জেলা রাজনীতিতে বরাবর রবীন্দ্রনাথের বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক মিহির গোস্বামী, অর্ঘ্যরায় প্রধান। তালিকায় মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ ও বর্তমান জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিমও রয়েছেন। গতবার লোকসভা নির্বাচনে হারের পরে রবীন্দ্রনাথকে সরিয়ে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনয়কৃষ্ণকে। সম্প্রতি পার্থপ্রতিমকে জেলা সভাপতি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে রাজনীতি অনেকটা পাল্টে যায়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দূরত্ব কমতে শুরু করে বিরোধী বিধায়কদের। তাঁদের একসঙ্গে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, পার্থপ্রতিম সভাপতি হওয়ার পরে রবীন্দ্রনাথের নাটাবাড়ি, মিহিরের কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা থেকে হিতেন বর্মণের বিধানসভা এলাকা শীতলখুচিতে কর্মসূচি করেন। কোনওটায় স্থানীয় বিধায়কেরা ছিলেন না। বিধায়কদের অনুগামীদের অভিযোগ, বিধায়ক-বিরোধীদের নিয়ে পার্থপ্রতিম কর্মসূচি করছেন। উদয়ন গুহর সঙ্গে অবশ্য একাধিক কর্মসূচিতে পার্থপ্রতিম ছিলেন। কিন্তু দিনহাটাতেও উদয়ন বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলীয় সূত্রে খবর, এই অবস্থায় সকলে একমত, বিধানসভা এলাকায় বিধায়ককে সাংগঠনিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement