কোচবিহার সদর মহকুমাশাসকের দফতরে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। নিজস্ব চিত্র
কোচবিহার পুরসভায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে কেউ দাঁড়ালে তাদের ধোলাই হবে, পিটাই হবে— এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কোচবিহার শহর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। মঙ্গলবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোচবিহার সদর মহকুমাশাসকের দফতরে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে অভিজিৎ স্লোগান তোলেন, ‘নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালে ধোলাই হবে পিটাই হবে।’ তাঁর এই ধরনের স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কোচবিহার পৌরসভায় তৃণমূল বিরোধীশূন্য করতে গিয়ে ‘গুন্ডার’ রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পরে অভিজিৎ বলেন, ‘‘যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে জোড়া ফুল চিহ্নে দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হচ্ছে আমরা তাদের শেষ দেখে ছাড়ব। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলের থেকে টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কয়েক জন। যদি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ায় তা হলে তাদের সেটা ঐতিহাসিক ভুল হবে। কেউ পার্টি সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে দল তাকে বহিষ্কার করবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের ঘরে ফেরা হবে না।’’
তৃণমূলের কোচবিহার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি তথা দুই নম্বর ওয়ার্ডের সম্ভাব্য নির্দল প্রার্থী উজ্জ্বল তর বলেন, ‘‘নির্বাচনে দাঁড়ানোর প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। সেই গণতান্ত্রিক অধিকারে কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। যদি কেউ কারও গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করে তবে তা দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি এই ধরনের কোন স্লোগান শুনিনি। তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে পারব না।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় একে গোষ্ঠীকোন্দলের ফল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে যখন দেখছে তাদের জয়ের আশা নেই তখন এই ধরনের স্লোগান তুলে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে। যাতে তাদের আর কোন বিরোধী না থাকে। যাতে বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারে। তবে মানুষ যথেষ্ট সচেতন। মানুষ বিজেপি-র সঙ্গে রয়েছে।’’