ভোটবাড়়ির গান্দিয়াপাড়া এলাকায় তাঁদের অনুমতি না নিয়ে রাস্তায় কাজ শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। নিজস্ব চিত্র।
পথশ্রী প্রকল্পের কাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ। ভোটবা়ড়়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্দিয়াপাড়া এলাকায় তাঁদের অনুমতি না নিয়ে রাস্তায় কাজ শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ ঘিরে ঝামেলার সূত্রপাত। প্রকল্পের কাজে বাধা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে এলাকাবাসীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন শাসক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ৫ জনকে আটকও করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, ‘‘মেখলিগঞ্জ থানার ভোটবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের গান্দিয়াপাড়া এলাকায় রাস্তার কাজ নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। সেই ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন। ৩ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বর্তমানে এলাকা শান্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটবাড়ি এলাকায় পথশ্রী প্রকল্পের ১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। অভিযোগ, বাসিন্দাদের অনুমতি ছাড়াই সেই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। সেই কারণেই নির্মাণকাজে বাধা দেওয়া হয়। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আলতাফ হোসেন ও তাঁর দলবল। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরে সংঘর্ষ বাধে দু’পক্ষের মধ্যে।
তৃণমূলের অবশ্য দাবি, পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার জমি দখল করে রেখেছে কয়েকটি পরিবার। তা নিয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘যে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে, সেই রাস্তা ঘেঁষে কয়েকটি পরিবার দেওয়াল তুলে রেখেছে। যার ফলে সেখানে রাস্তাটি সংকীর্ণ হয়ে রয়েছে। এলাকার কিছু মানুষ চাইছেন, দেওয়াল সরিয়ে রাস্তাটি চওড়া করা হোক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যেই একটি বিবাদ তৈরি হয়েছে। যে হেতু তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ওই এলাকারই বাসিন্দা, তাই কোনও ভাবে তিনিও হয়তো এই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। যদি দেখা যায়, অঞ্চল সভাপতি সেখানে মাতব্বরি করেছেন, তা হলে আমরা দলীয় ভাবে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করব।’’
বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক দধিরাম রায় বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। যেখানেই কোনও কাজ হয়, সেখানেই তৃণমূলের মধ্যে কাটমানি নিয়ে গন্ডগোল লাগে। এটাও সেই কাট মানি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোল।’’