Politics

‘তদ্বিরে’ কি কাজ হবে, না বাড়বে দ্বন্দ্ব, প্রশ্ন

দলীয় সূত্রের খবর,  ব্লকে ব্লকে নিজেদের অনুগতদের সভাপতি পদে বসানোর জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ‘তদ্বির’ করতে ইতিমধ্যে কলকাতায় হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন বেশ কয়েক জন জেলা নেতা-নেত্রী।

Advertisement

  নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৫:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূল ভবনই যে শেষ কথা, জেলায় জেলায় ব্লক সভাপতি মনোনয়নের প্রশ্নে সে কথাই স্পষ্ট করে দিতে চাইছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের অন্দরে খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিরবিচ্ছিন্ন স্থানীয় দ্বন্দ্ব মুছতেই ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (পিকে) এই সুপারিশ। কিন্তু মালদহ জেলায় তৃণমূল-স্তরের এই পদ নির্বাচনকে ঘিরে ৪-৫ জনের নাম সুপারিশ হওয়ায় ভোটের আগে ফের গোষ্ঠী কোন্দল তীব্রভাবে ফিরবে না তো? এই প্রশ্নই উঠেছে। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, জেলা নেতৃত্বের একাংশ চাইছিলেন না যে এক একটি ব্লক থেকে একাধিক নাম পাঠানো হোক, কিন্তু শেষে সকলের মতামতের ভিত্তিতেই নাম পাঠাতে হয়।

Advertisement

এ দিকে দলীয় সূত্রের খবর, ব্লকে ব্লকে নিজেদের অনুগতদের সভাপতি পদে বসানোর জন্য রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ‘তদ্বির’ করতে ইতিমধ্যে কলকাতায় হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন বেশ কয়েক জন জেলা নেতা-নেত্রী। তবে, দলের আর একটি সূত্রে খবর, তদ্বিরে এ বার আর ডাল গলবে না।

লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর থেকেই মালদহে তৃণমূলের ব্লক কমিটি নেই। পুরনো কমিটিই কাজ চালাচ্ছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য নেতৃত্ব পাঁচজনকে নিয়ে জেলা কোর কমিটি গঠন করে দেন এবং সেই কমিটিকেই নির্দেশ দেওয়া হয় সম্ভাব্য ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা তৈরি করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠাতে। ওই নির্দেশ পাওয়ার পরে সপ্তাহ খানেক আগে পরপর তিন দিন বৈঠকে বসেছিল কোর কমিটি। তিন জন বিধায়কও বৈঠকে ছিলেন। কিন্তু জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত সভাপতিদের নাম নিয়ে সেই বৈঠকে নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য হয়। বিশেষ করে, ইংরেজবাজার ও কালিয়াচকের ১ ব্লকের বেশ কিছু নাম নিয়ে নেতৃত্বের একাংশ বিরোধিতাও করেন। কিন্তু নামগুলি শেষ পর্যন্ত গিয়েছে বলেই খবর।

Advertisement

এ দিকে, এত দিন জেলা সভাপতিই ঘোষণা করতেন ব্লক কমিটি। এ বার জেলা সভাপতি, বিধায়ক, কো-অর্ডিনেটর সকলেই তাঁদের অনুগতদের নামের তালিকা সুপারিশ করলেও সিদ্ধান্ত আসবে খোদ তৃণমূল ভবন থেকে। তবে, সেই মনোনয়ন যে খুব সুবিধার হবে না তা দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তাতে গোষ্ঠী কোন্দল বেড়ে আবার হিতে বিপরীত হয়ে ফিরে আসবে না তো, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এ দিকে, বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট পেতে ইতিমধ্যে দলের নেতাদের একাংশ অনুগতদের দিয়ে নিজেদের নাম বিভিন্ন আসনে দাবিদার হিসেবে তুলে ধরা শুরু করেছেন। এ কাজে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠক ডেকেও সেই সব নাম তুলে ধরা হচ্ছে। ফলে সেখানেও ধীরে ধীরে দ্বন্দ্বের আকারই নিতে শুরু করেছে।

তৃণমূলের একাংশ জানাচ্ছেন, ব্লক সভাপতি পদে নিজেদের অনুগতদের বসাতে ইতিমধ্যে জেলার বেশ কিছু নেতা এখন কলকাতায় আছেন। মুখে তাঁরা ‘কাজ’-এর কথা বললেও জেলা নেতাদের একাংশ বলছেন, ‘কাজ’ আসলে অনুগতদের ব্লক সভাপতি

পদে বসাতে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তদ্বির করা। দলের কোর কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘‘যাঁরা প্রকৃত দলকে ভালোবাসেন তাঁরা দলের সিদ্ধান্তকেই মাথা পেতে নেন। যেখানে স্বার্থ, সেখানেই তদ্বিরের প্রশ্ন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement