বন্ধন: পথচারীদের রাখি পরাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। শিলিগুড়ির রাস্তায় (বাঁ দিকে)। সম্পর্ক: এক আনাজ বিক্রেতাকে রাখি পরিয়ে দিচ্ছেন শিলিগুড়ি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের মহিলা সদস্যরা (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পরে, বিজয়া সম্মিলনী, দোল উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময়ের মতো এ বার রাখিবন্ধন উৎসবেও উঠে এল রাজনৈতিক ‘টক্করের’ ছবি। রাখি পরানো, লাড্ডু বিলি থেকে জনসংযোগের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল।
শহরের হাশমি চকের কাছে হিলকার্ট রোডের উপরে, দার্জিলিং জেলা মহিলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথচলতি লোকজনকে এ দিন সকালে রাখি পরানো হয়। লাড্ডুও বিলি হয়েছে। শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সমতলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ এবং অন্য নেতারাও ছিলেন এই কর্মসূচিতে। পাপিয়া শিলিগুড়ি বিশেষ সংশোধনাগারে আবাসিকদের রাখি পরিয়েছেন। সেখানে ছিলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা তৃণমূল নেতা মদন ভট্টাচার্য দলীয়, নেতা-কর্মীদের নিয়ে দিনটি পালন করেছেন। গৌতম দিনভর বিভিন্ন জায়গা এই উৎসবে ছিলেন।
পাপিয়া বলেন, ‘‘দলের পক্ষ থেকে বুথ পর্যন্ত উৎসব পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। আমরা সব বিষয়ে রাজনীতি করি না। সব ধর্মের মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। যারা সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি খোঁজে, তারাই রাজনীতি করে।’’
একই ভাবে বিজেপির পক্ষ থেকেও হাসপাতাল মোড়ে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়। শহরের হাতি মোড়ে পথচারীদের রাখি পরিয়ে লাড্ডুর সঙ্গে হাতে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পতাকা। বিজেপির দাবি, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঘরে ঘরে তেরঙ্গা লাগাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাখি পরিয়ে জাতীয় পতাকা দিয়ে বাড়িতে তা টাঙাতে অনুরোধ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মণ বলেন, ‘‘প্রত্যেক ওয়ার্ডে রাখিবন্ধন পালন হয়েছে। রাজনীতি ভুলে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার বার্তা দিয়েছি আমরা। শাসক দলই রাজনীতি করেছে।’’
বিজেপি এবং তৃণমূলের রাখি উৎসব পালনকে কটাক্ষ করেছে বামেরা। দার্জিলিং জেলা সিপিএমের প্রাক্তন সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপি পরস্পরকে রাখি পরাক। সেটাই ভাল হবে।’’ তাঁর দাবি, বামেদের বিভিন্ন শাখা, সংগঠন, যুব সংগঠন বিভিন্ন এলাকায় বাসিন্দাদের নিয়ে রাখি পালন করেছে।