প্রতীকী ছবি
বিজেপির মিছিলের চেয়ে শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনআসরি ও সিএএ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে বেশি লোক আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। যদিও মুখে বিজেপির মিছিলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব। আগামিকাল, ৩ জানুয়ারি দলনেত্রীর কর্মসূচির আগে বুধবার দুপুরে পুলিশকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সভামঞ্চও পরিদর্শন করেন গৌতমবাবু। মাল্লাগুড়ির ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশ থেকে বাঘাযতীন পার্ক পর্যন্ত শুক্রবার পদযাত্রা করার কথা তৃণমূল নেত্রীর। ওই কর্মসূচির জন্য শুক্রবার দুপুরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশ।
পদযাত্রা শুরুর আগে অল্প সময়ের বক্তৃতার জন্য মাল্লাগুড়িতেই তৈরি হয়েছে মঞ্চ। এ দিন সেই মঞ্চের প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তা ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখেন গৌতম দেব। সেখানেই তিনি বিজেপির মিছিল সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমরা কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে চাই না। আরশোলাও সাময়িক ভাবে উড়ে বেড়ায়, কিন্তু তাকে পাখি বলা যায় না।’’
গৌতমবাবুর দাবি, ‘‘শিলিগুড়ি মহকুমা আর পাহাড় ছাড়াও জলপাইগুড়ি জেলার ডাবগ্রাম, রাজগঞ্জ-সহ কয়েকটি জায়গা থেকেও কর্মী-সমর্থকদের আসার কথা মিছিলে। তাতে লক্ষাধিক লোক হবে বলে আশা করছে তৃণমূল।’’ মাল্লাগুড়িতে সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার মঞ্চে ২০ জনের বসার আয়োজন হয়েছে। দু’দিক দিয়েই সিঁড়ি থাকবে মঞ্চে ওঠার। মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা শুরুর আগেই সেখানে ছোট সভা হবে। বাঘা যতীন পার্কে মিছিল শেষ হওয়ার পর সেখানেও একটি সভার প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে।
তৃণমূলের মিছিল নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করে দার্জিলিং বিজেপি জেলা সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এসে একটি আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে খাওয়ার পরেই তাদের ‘হাইজ্যাক’ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানো হয়েছিল। কে আরশোলা তা তৃণমূল নিজেরাই প্রমাণ করেছে।’’
তৃণমূল নেতাদের কথায়, সাড়ে এগারোটা থেকেই জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় শহরে আর পা ফেলার জায়গা থাকবে না বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। শহরে ওই সময় যানজট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই পুলিশকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর এবং রেলস্টেশনগামী বিকল্প রাস্তাগুলিতে ট্র্যাফিক চলাচল বাড়াতে। শিলিগুড়ি ট্র্যাফিক পুলিশের এডিসিপি ডম্বর সিংহ সোনার বলেন, ‘‘যান চলাচল নিয়ে এখনও শেষ মুহূর্তের বৈঠক চলছে।’’
পুলিশের দাবি, কোনও রাস্তাতেই ট্র্যাফিক একেবারে বন্ধ কর যাবে না। দার্জিলিং মোড় থেকে শুরু করে প্রায় তিন কিলোমিটার পথে মিছিল চলাকালীন পরিস্থিতি বুঝে যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।