প্রতীকী ছবি
মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে তুফানগঞ্জ উত্তাল হয়ে উঠল সংঘর্ষে। বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের নাটাবাড়ি বিধানসভার চিলাখানা ১ ব্লকে সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূল ও বিজেপি, দুই দলেরই কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। গোলমাল থামাতে গিয়ে তিন জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ১৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ দিনের ঘটনায় চিলাখানার ব্যবসায়ীরা প্রায় তিন ঘন্টা পথ অবরোধ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিজেপির যুব মোর্চার ২৮ নম্বর মণ্ডল সভাপতিকে তৃণমূলকর্মীরা মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। বুধবার সকাল তৃণমূল বাইক মিছিল করে চিলাখানা বাজার এলাকায়। তার পরে বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়। এলাকার ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়, দোকানপাটও ভাঙা হয়। এর পর চিলাখানার তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়। এর পরেই সকাল দশটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিজেপি চিলাখানা বাজারের ৩১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। পরে বিজেপি একটি শান্তি মিছিল করে চিলাখানা গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন রাস্তায় দিয়ে। অভিযোগ, তৃণমূল সেই মিছিলের উপর বোমা এবং পাথর ছোড়ে। তখনই পাথরের আঘাতে তিন জন পুলিশ কর্মী আহত হন। সেই সময় পুলিশও তৃণমূল কর্মীদের উপরে লাঠি চালায় বলে দাবি। এই সময়ই বিজেপি কর্মীরা চিলাখানা মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে একটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি আমার জায়গাকে টার্গেট করেছে। আগুন লাগাচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি কর্মীরা এলাকার তৃণমূল নেতা ইনদাদুল হকের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেছে। সেই সাব-ইন্সপেক্টর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাব।’’ বিজেপির স্থানীয় নেতা পুষ্পেন সরকার জানান, ইনদাদুলের নামে আগে অভিযোগ ছিল। তাঁর অভিযোগ ‘‘আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করে তৃণমূল। মানুষ তাই ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে। বিজেপি কিছু করেনি।’’
চিলাখানা ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য উত্তম দাস জানান, মাঝে মধ্যে বহিরাগতদের দ্বারা এলাকা অশান্তি ছড়াচ্ছে। আমরা চাই এলাকায় শান্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে। মহকুমার এসডিপিও জ্যাম ইয়াং জিম্বা জানান, ‘‘ইনদাদুল ছুটে পালিয়ে গিয়েছে। তাকে দ্রুত ধরা হবে। এলাকায় পুলিশ পিকেট রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।’’
এ দিন মাথাভাঙায় তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে কুর্শামারি এলাকায় বোমা ও গুলির অভিযোগ ওঠে। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।