ফাইল ছবি
দিনহাটা উপনির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সেই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটা থেকে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক ৫৭ ভোটে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের উদয়ন গুহকে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সে কারণেই এই উপনির্বাচন। বিজেপি-র ধারণা, এ বারের উপনির্বাচনে জয়ের ব্যবধান বাড়বে। উল্টো দিকে ব্যবধান মিটিয়ে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূলও। তবে দু’দলেরই প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়ে এখন চলছে জল্পনা। বিজেপি-র হয়ে নতুন কোনও প্রার্থীই লড়বেন এই আসনে। অন্য দিকে, সংগঠনের ভোল পাল্টে ফেলা তৃণমূলেরও কি নতুন কেউ প্রার্থী হবেন, ঘুরছে প্রশ্ন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন উপনির্বাচনে প্রার্থীপদের প্রথম দাবিদার। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু শেষ কয়েকমাসে তৃণমূলের জেলা সংগঠনে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। এসেছে নতুন মুখ। উদয়নও বলছেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দিনহাটার মানুষ অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছেন। দল যাঁকে প্রার্থী করবে, আমরা তাঁর হয়ে প্রচার করব। ৫৭ ভোটে হেরেছিল দল। তাই এ বার কী ভাবে বিপুল ভোটে জেতা যায়, তার জন্য সকলে কাজ করব।’’
অন্য দিকে, গত নির্বাচনে বিজেপি-র প্রার্থী নিশীথ এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তাই বিজেপি-র প্রার্থী হবেন নতুন কেউ। বিজেপি-র জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনে দিনহাটার মানুষ দু’হাত তুলে বিজেপি-কে আশীর্বাদ করেছেন। বিজেপি প্রার্থী দিনহাটায় জেতেন। এই উপনির্বাচনেও দিনহাটার মানুষ বিজেপি-কে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন এবং বিজেপি-র প্রার্থীই জয় পাবেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছিল। আমরা চাই, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে এ বারও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক।’’
কিন্তু বিজেপি-র চিন্তা বাড়াচ্ছে একেবারে নিচুতলার কর্মীদের দলবদল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি-র নেতা-কর্মীরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। বিজেপি-র দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিও বর্তমানে তৃণমূলের হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিনহাটার উপনির্বাচনে বিজেপি নিজের জায়গা কতটা ধরে রাখতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।