মাত্র চারদিনের ব্যবধানে বাজেট পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা পরিষদের ক্ষমতাসীন বোর্ডের কর্তারা।
লোকসভা নির্বাচনের আগে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে বাজেট পেশের দিন ঘোষণা নিয়ে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। বিরোধীদের অভিযোগ, সাধারণ সভার পর অন্তত এক মাসের নোটিস দিয়ে বাজেট বৈঠক ডাকার নিয়ম। অথচ শুক্রবার সাধারণ বৈঠক করে মাত্র চারদিনের ব্যবধানে বাজেট পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা পরিষদের ক্ষমতাসীন বোর্ডের কর্তারা।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের একমাত্র বিজেপি সদস্য কল্পনা নাগের অভিযোগ, “নিয়মে স্পষ্ট বলা রয়েছে, বাজেট পেশের আগে সাধারণ সভায় অন্তত একমাসের নোটিস দিতে হবে। অথচ, এ দিন সাধারণ সভা ডেকে মঙ্গলবার বাজেট পেশের দিন ঠিক করে ফেলা হল!” যার উত্তরে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার বলেন, “নিয়মে এটাও বলা রয়েছে, সাধারণ সভায় সদস্যরা চাইলে, জরুরি ভিত্তিতে তিনদিনের নোটিশেও বাজেট পেশের দিন ধার্য করা যায়। এ দিনের সভায় মঙ্গলবার বাজেট পেশের দিন সর্বসম্মতিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
কিন্তু যেখানে পাশের দুই জেলা কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ইতিমধ্যেই জেলা পরিষদের বাজেট পেশ হয়ে গিয়েছে, সেখানে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সাধারণ সভা ডাকতে এতদিন সময় লাগল কেন তা নিয়ে তৃণমূল বোর্ডের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে বলেন, “জেলা পরিষদের সাধারণ সভা ডাকার দায়িত্ব সভাধিপতির। তিনি যদি একমাস আগে সভা ডাকতেন, তাহলে এতদিনে জেলা পরিষদের বাজেট পেশ হয়ে যেত। জেলার উন্নয়নও দ্রুত হত।” তবে সভাধিপতি বলেন, ‘‘বোর্ড গঠনের পর নতুন মেন্টর পদ গঠন, সেই পদের ভূমিকা কী হবে তা-সহ বেশকিছু বিষয় বুঝতে অনেকটা সময় চলে যায়। তাছাড়া জেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা অনেকে দলের কাজেও ব্যস্ত থাকেন৷ ফলে তাদের পেতে সমস্যা হচ্ছিল। সেজন্য সাধারণ সভা ডাকতে দেরি হয়।’’
এ দিনের সাধারণ সভাতেও মেন্টর মোহন শর্মা বা সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জনবাবু উপস্থিত ছিলেন না। তবে মোহনবাবু বলেন, “সভাধিপতি ঠিক বলেছেন৷ নির্বাচন কাছে এসে যাওয়ায় আমরা অনেকেই দলের কাজে ব্যস্ত। সেজন্য এ দিনের সভাতেও নিজে যেতে পারিনি।” সহকারী সভাধিপতি বলেন, “এ দিন যে সাধারণ সভা সেটা আমায় সকালে জানানো হয়েছে। তবে পারিবারিক সমস্যার জন্য যেতে পারিনি।”