Trains

সময়ে ট্রেন, বিক্রি হচ্ছে টিকিটও

১ জুন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ও আরও পাঁচটি যাত্রী স্পেশাল চালু করেছে রেল।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:২৯
Share:

এনজেপি স্টেশন। নিজস্ব চিত্র

শুরুর প্রথম দিকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে ট্রেন চললেও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে যাত্রী স্পেশালের যাতায়াত। রেলের দাবি, এখন সূচি মেনেই চলছে ট্রেনগুলি। বুকিংয়ের হারও সন্তোষজনক বলেই জানাচ্ছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল। তার উপর নির্ভর করেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের আরও কিছু ট্রেন চালানো শুরু হতে পারে বলে রেল সূত্রে খবর।

Advertisement

১ জুন থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ও আরও পাঁচটি যাত্রী স্পেশাল চালু করেছে রেল। রেলের দাবি, এই যাত্রী স্পেশাল ট্রেনগুলিতে আসন সংরক্ষণের হার ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদহগামী পদাতিকে কেবল টিকিট বুকিংয়ের হার কিছুটা কম। পাশাপাশি এখন নির্ধারিত সময়েই চলছে সব ট্রেন। বুধবারও পদাতিক নির্ধারিত সময়ে এনজেপি পৌঁছেছে বলে রেল সূত্রে দাবি করা হয়। দেরি হয়নি অন্য ট্রেনগুলিরও।

সার্বিকভাবে এই সাফল্যের ভিত্তিতেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের আরও কিছু যাত্রী ট্রেন চালু করতে পারে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস, হাওড়া-এনজেপি শতাব্দী এক্সপ্রেস, ট্রেনগুলি ধীরে ধীরে চালু হবে বলে রেল সূত্রে খবর। উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে আরও ট্রেন চালু হবে। তবে তা রেল মন্ত্রকের নির্দেশ এলে।’’

Advertisement

এখন চলা ট্রেনগুলির মধ্যে পদাতিক একমাত্র ট্রেন যেটি উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। কলকাতার দিক থেকে উত্তরবঙ্গে আসা ট্রেনে আসন সংরক্ষণের হার গড়ে ৯৮ শতাংশের কাছে থাকছে বলে দাবি। তাহলে দার্জিলিং মেল, কাঞ্চনকন্যা, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস কবে চালু হবে? উত্তরপূর্ব রেল সূত্রে দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই সেগুলি চালু হবে।

যেহেতু ওই ট্রেনগুলি পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে, সেগুলি চালানোর ব্যাপারে পূর্ব রেল সিদ্ধান্ত নেবে। এখন যে যাত্রী স্পেশাল চলছে তাতে প্যান্ট্রি সার্ভিস বা রান্না করা খাবার দিচ্ছে না রেল কর্তৃপক্ষ। বাতানুকূল কামরায় দেওয়া হচ্ছে না চাদর, কম্বল। কিছুদিন আগে যাত্রী স্পেশালের স্টপেজ কমাতে অনুরোধ করেছিল রাজ্য সরকার। কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের দু’একটি স্টপেজ তোলা হলেও পদাতিকের ক্ষেত্রে তা এখনই করছে না উত্ত-পূর্ব সীমান্ত রেল। কর্তাদের দাবি, সব দিক বিচার করে রেল মন্ত্রকের অনুমোদনেই এরকম সিদ্ধান্ত হয়।

তবে যাত্রী স্পেশালে ফেরা যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। ট্রেনের কামরা মোটামুটি পরিষ্কার থাকলেও যাত্রাপথে ট্রেনে স্যানিটাইজ়েশন হচ্ছে না বলেও যাত্রীদের একাংশ জানাচ্ছেন। যদিও শুভানন চন্দের দাবি, ‘‘যাত্রা শুরুর আগে এবং পরে পুরো ট্রেন জীবাণুমুক্ত করা হয়। স্টেশনে ঢোকার আগেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয় যাত্রীদের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement