আঙুলের ছাপ মিলিয়ে মজুরি

চা বাগানে গিয়ে চা শ্রমিকদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে মজুরি দেওয়া শুরু করলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আধার কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দিয়ে মজুরি নিলেন শ্রমিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:২৪
Share:

বায়োমেট্রিকে মজুরি বাগানে। — নিজস্ব চিত্র

চা বাগানে গিয়ে চা শ্রমিকদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে মজুরি দেওয়া শুরু করলেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আধার কার্ড নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ দিয়ে মজুরি নিলেন শ্রমিকরা। শনিবার আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন মাঝেরডাবরি চা বাগানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজেদের মজুরি পেয়ে খুশি শ্রমিকরা। উপস্থিত ছিলেন ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তা থেকে চা মালিক সংগঠনের কর্তা ব্যক্তিরা।

Advertisement

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক রামঅবতার শর্মা জানান, মাঝেরডাবরি চা বাগানের অধিকাংশ শ্রমিকের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। শ্রমিকরা নিজেদের আঙুলের ছাপ দিয়ে নিজেদের প্রাপ্য মজুরি নিচ্ছেন। তিনি বলেন। ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমরা সফল। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক যে ভাবে আমাদের সহযোগিতার করেছে তাতে নোট সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়েছে।’’

চা বাগানের শ্রমিক সোমারি কুজুর বলেন, ‘‘আধার কার্ড নিয়ে যখন চা বাগানের অফিসে যাই সেখানে ছিলেন ব্যাঙ্কের অফিসাররা। মেশিনে আঙুলের ছাপ নিয়ে আমাকে আমার মজুরির টাকা দেয় ওঁরা।’’ তবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না হওয়ায় এ দিন মজুরি পাননি গীতা ওরাঁও।

Advertisement

চা বাগানের এক কর্তা জানান, এত দিন শ্রমিকদের মজুরি চা বাগান কর্তৃপক্ষ সরাসরি নগদে দিত। কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। তাঁর কথায়, ‘‘নতুন ব্যবস্থায় কী ভাবে শ্রমিকরা তাঁদের মজুরি নেবেন তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কায় ছিলেন। তাঁরা দূরের ব্যাঙ্কে যাবেন, না এটিএম থেকে টাকা তুলবেন। প্রাপ্য মজুরি নিতে গিয়ে দালালদের খপ্পড়ে পরতে হবে নাতো। তবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের আঙুলের ছাপ দিয়ে চা বাগানেই তাঁরা মজুরি নিতে পারায় চা শিল্পের মজুরি সমস্যার অনেকটা সুরাহা হল।’’

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির জোনাল ম্যানেজার সুশান্তকুমার দাস জানান, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের ১১টি চা বাগানে আট হাজার শ্রমিকের বায়োমেট্রিক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মাঝেরডাবরি চা বাগানে ১,৫৫৮ জন শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এখনও প্রায় দু’শো শ্রমিকের অ্যাকাউন্ট খোলা বাকি। শনিবার প্রায় সাড়ে এগারো লক্ষ টাকা মজুরি দেওয়া হয়েছে সাতশো শ্রমিককে। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘চা বাগানগুলির কাছে মিনি এটিএম মেশিন বসানো হবে। যেখান থেকে প্রয়োজনে টাকা নিতে পারবেন শ্রমিকরা। শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য স্থায়ী কর্মী রাখা হবে চা বাগানগুলিতে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement